হেঁটে যে রাস্তা আজও শেষ করতে পারেনি কেউ

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৩ পিএম, ২১ মে ২০২৩

এই বিশাল গ্রহে অনেক অনাবিষ্কৃত স্থান আছে, যেখানে মানুষ এখনো পৌঁছাতে পারেনি। পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক স্থান আছে যা রহস্যে ঢাকা।

তেমনই এক রহস্যময় রাস্তা আছে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে রাশিয়ার পূর্ব দিকের মাগাদান বন্দর শহর পর্যন্ত। জানা যায়, বিশ্বের দীর্ঘতম হাঁটাযোগ্য দূরত্ব এখনো অন্বেষণ করা হয়নি। এত লম্বা পায়ে হেঁটে কোনো মানুষ কখনো যায়নি।

আরও পড়ুন: পাহাড়জুড়ে বিশাল রেস্টুরেন্ট, একসঙ্গে খেতে পারেন ৫৮০০ জন

এই দুটি গন্তব্যের মধ্যে দূরত্ব ২২ হাজার ৩৮৭ কিলোমিটার। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ভ্রমণকারীদের ফ্লাইট, ফেরি বা নৌকার প্রয়োজন না নয়।

এই পথের যাত্রীরা আফ্রিকার মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারে। এমনকি সুয়েজ খাল পেরিয়ে তুরস্ক, মধ্য এশিয়া তারপর সাইবেরিয়া হয়ে রাশিয়া যেতে পারে।

শুধু এই অঞ্চলগুলো নয়, সব ঋতু ও আবহাওয়ার অবস্থার কথা মাথায় রেখে ভ্রমণকারীরা ১৭টি দেশ অতিক্রম করতে পারবেন এই পথ ধরেই।

আরও পড়ুন: লাদাখ ভ্রমণে কখন যাবেন ও কী দেখবেন?

এই পথের একমাথা থেকে অন্যমাথায় বিরতিহীন হেঁটে পৌঁছাতে আপনার সময় লাগবে ৪ হাজার ৪৯২ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৮৭ দিন। তবে আপনি যদি দিনে ৮ ঘণ্টা হাঁটেন তাহলে এই পথ শেষ হতে সময় লাগবে ৫৬২ দিন।

মোটকথা একজন ব্যক্তির এই পথে হেঁটে পৌঁছাতে কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগবে। এই দীর্ঘতম পথে হাঁটার অভিজ্ঞতা হতে পারে ১৩ বার মাউন্ট এভারেস্টের উপরে ও নীচে ভ্রমণে সমতুল্য।

জানলে অবাক হবেন, এখন পর্যন্ত কোনো মানুষই এ ধরনের ভ্রমণে যাওয়ার সাহস করেনি। এই হাঁটা একটু বিপজ্জনক হতে পারে ও কিছু এলাকা বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের অধীনে পড়ে।

আরও পড়ুন: হাঁসের মাংস দিয়ে চিতই খেতে ঘুরে আসুন নীলা মার্কে

শুধু তাই নয়, ভিসা সীমাবদ্ধতা এখানে একটি বড় অপূর্ণতা। এছাড়া আবহাওয়ার অনুকূলে নাও থাকতে পারে ভ্রমণকালে।

‘দ্য পটেনশিয়াল লংগেস্ট ওয়াকেবল রোড’ এর অধীনে এই রুটটি অনেক আগেই একজন রেড্ডিট ব্যবহারকারী শেয়ার করেন। এরপর তার পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়।

সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।