ভারত ভ্রমণে ঘুরে আসুন ছবির মতো সুন্দর গ্রাম ‘জিরো ভ্যালি’
নিরিবিল ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এমন স্থানে যারা কিছুটা সময় অবসর কাটাতে চান তারা যেতে পারেন ভারতের জিরো ভ্যালিতে। ছবির মতো সুন্দর এই গ্রাম দেখলে আপনার মনে হবে কোনো কল্পনার জগতে হারিয়ে গিয়েছেন।
অনেকেই হয়তো ভাববেন, সব গ্রামের সৌন্দর্যই তো একই ধাঁচের! আসলে এই গ্রামের ঘন অরণ্য, বাঁশ বাগান ও ধানের খেত আর পাঁচটা গ্রামের চেয়ে অনেকটাই আলাদা।
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের জিরো ভ্যালি মূলত আদিবাসীদের একটি গ্রাম। জিরো ভ্যালির সংগীত উৎসব বিশ্ববিখ্যাত। বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় নাম লিখিয়েছে এই জিরো উপত্যকা।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় দেড় হাজার মিটার। এই অঞ্চলে অনেক ধানের ক্ষেত দেখতে পাবেন। তবে পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত এই গ্রামের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
প্রচুর পাইন গাছের দেখা পাবে এই গ্রামে। শীত হোক বা গ্রীষ্ম এখানকার আবহাওয়া সব সময়ই কিন্তু শীতলই থাকে। জিরো ভ্যালিতে আবার এমন সব স্থান আছে যেগুলো ঘুরে আসতে ভুলবেন না সেখানে গেলে-
ট্যালি উপত্যকার জঙ্গল
ট্যালি ভ্যালি ওয়াইল্ডলাইফ স্যানচুয়ারি অবস্থান করছে প্রায় ৩৩৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। জিরো ভ্যালির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এটি। এই জঙ্গলে বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির আবাসস্থল।
যদিও এ অঞ্চলে পর্যটকদের আনাগোনা খুব কমই হয়। জঙ্গলে সিলভার ফার, অর্কিড, বাঁশ ও ফার্নের অত্যাশ্চর্য গাছ দেখা যায়। ট্যালি ভ্যালি জঙ্গলকে বলা হয় জৈব বৈচিত্র অঞ্চল।
মেঘনা গুহা মন্দির
জিরো ভ্যালিতে অবস্থিত মেঘনা গুহা মন্দিরও একটি দর্শনীয় স্থান। ৫ হাজার বছরেরও প্রাচীন এই গুহা মন্দিরের পুনরায় খোঁজ মেলে ১৯৬২ সালে। এটি প্রায় ৩০০ ফিট উঁচুতে অবস্থিত। পর্বতমালা, সবুজ ঘন বন আর নিচে প্রবাহিত স্বচ্ছ নদী প্রকৃতিপ্রেমীদের খুশি করবে।
কিলে পাখো
পুরাতন জিরো থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কিলে পাখো পর্বত। স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে অনেকেই পর্বতারোহণ করেন।
পাহাড় থেকে এদিকে যেমন জিরো ভ্যালির মালভূমি অঞ্চলের সৌন্দর্য চাক্ষুস করা যায়, তেমনই অন্য দিকে চোখে পড়ে তুষার আচ্ছাদিত হিমালয় পর্বতমালা।
মিডি
নীলচে পাইন গাছ দেখতে চাইলে সোজা চলে যান মিডিতে। আপাতানি উপত্যকার সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে লম্বা পাইন গাছ এখানেই দেখতে পাবেন। হাইকিং এবং ট্রেকিংয়ের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা।
জিরো পুটো
জিরো পুটো একটি পাহাডড়ের নাম। এখানে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৬০ সালে সেনা ক্যান্টনমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় জায়গাটি আর্মি পুটো নামেও পরিচিত। এই টিলা থেকে আপতানি মালভূমির অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
সূত্র: হলিডিফাই
জেএমএস/জেআইএম