২০২২ সালে যেসব স্থান বেশি খোঁজা হয়েছে গুগলে
সাইফুর রহমান তুহিন
কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে সে স্থান সম্পর্কে খুঁটিনাটি নানা তথ্য জানতে কমবেশি সবাই খোঁজ করেন গুগলে। হয়তো এমন কোথা তথ্য নেই, যা গুগলে সার্চ করলে পাওয়া যায় না!
এক জায়গায় বসেই বিশ্বের সব দেশের খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানা যায় সর্বাধিক জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলে। এ বছর গুগলে সবচেয়ে বেশি কোন কোন স্থানসমূহের খোঁজ চালিয়েছে বিশ্ববাসী তা কি জানেন?
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, তাহলে সামনের বছর আপনার ভ্রমণ তালিকা তৈরি করতে সুবিধা হবে। জেনে নিন বিশ্বব্যাপী গুগলে সবচেয়ে বেশিবার সার্চ করা জায়গাগুলোর নাম।
বাকিংহাম প্যালেস, যুক্তরাজ্য
এটি একটি প্রাসাদ ও সাংবিধানিকভাবে ব্রিটেনের রাষ্ট্রপ্রধানের বাসভবন। এখানে না গেলে কিন্তু আপনার যুক্তরাজ্য ভ্রমণ অনেকটা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে।
সারা বিশ্বজুড়ে যেসব রাজপ্রাসাদ এখনো সক্রিয় আছে, সেগুলোর একটি হলো বাকিংহাম প্যালেস। এটির অভ্যন্তরভাগ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
এখানকার আকর্ষণীয় যেসব স্থান মিস করা উচিত নয় সেগুলো হলো- রাজকীয় বাসস্থানসমূহ, আর্ট গ্যালারিসমূহ, ঘন সবুজ বাগানসমূহ প্রভৃতি।
বিগ বেন, লন্ডন
ওয়েস্টমিনিস্টারের বিখ্যাত ঘড়ির নাম হলো বিগ বেন। এটি সুপরিচিত এর বিশাল বেল ও নির্ভুল সময় দেখানোর জন্য। লন্ডন শহরের বিখ্যাত একটি স্থান হওয়ার কারণে এটি নিশ্চিতভাবে অবশ্যই দর্শনীয় স্থান।
১৩ টনেরও অধিক ওজনের (১৩ হাজার ৭৬০ কিলোগ্রাম) এই ঘড়ি টাওয়ারকে রাতের বেলা নজরকাড়া লাগে যখন এটির মুখ উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে।
গিজার মহা পিরামিড
এই স্থানের অসংখ্য ছবি হয়তো আপনি বিভিন্ন সময়ে দেখেছেন তবে এটির সামনে দাঁড়ানোর অনুভূতি এক কথায় বিস্ময়কর। এতো বিখ্যাত এটি স্মৃতিচিহ্ন একেবারে সামনে থেকে দেখার অনুভূতির কোনো তুলনাই হয় না।
সেই ষোড়শ শতাব্দীর শুরুর দিকে নির্মিত বৃহত্তম মিশরীয় পিরামিড এখনো তার দর্শনার্থীদেরকে বিস্ময়কর কিছু মুহূর্ত উপহার দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার, রিও ডি জেনেইরো
রিও ডি জেনেইরো শহরের মাথার ওপর ২ হাজার ৩১০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের মূর্তির কাঠামো প্রায় একশত বছর ধরে ইতিহাসবিদ ও পর্যটকদেরকে বিমোহিত করে যাচ্ছে।
১৩০ ফুট উঁচু মূর্তিটি একটি ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এর দুই বাহু আবার ২৮ ফুট প্রশস্ত। করকোভাডো পর্বতের টিজুকা ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কের একবারে শীর্ষে নজরকাড়া অবস্থানের কারণে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারকে আধুনিক বিশ্বের এক বিস্ময়ের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
রাজকীয় প্রাসাদ, ব্রাসেলস
ব্রাসেলসের রাজকীয় প্রাসাদ হলো বেলজিয়ামের রাজার প্রধান কর্মস্থল ও প্রশাসনিক আবাসস্থল। যাবতীয় দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড এখানেই সারেন তিনি। যদিও রাজপরিবার এখানে বসবাস করে না তবে ভবনটিতে উৎসবমুখর রাজকীয় অনুষ্ঠানাদি হয়ে থাকে।
চিয়াং কাই-শেক মেমোরিয়াল হল, তাইপে সিটি, তাইওয়ান
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত চিয়াং কাই-শেক মেমোরিয়াল হল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রথম প্রেসিডেন্ট চিয়াং কাই-শেকের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করা হয়।
দারুণ আকর্ষণীয় এই ভবনটি এখন তাইপে শহরের বিখ্যাত জায়গার পাশাপাশি পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করা স্থানে পরিণত হয়েছে।
সোনশান কালচারাল অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ পার্ক, তাইপে সিটি, তাইওয়ান
তাইপে শহরের জিনি জেলায় অবস্থিত সোনশান একটি বহুমাত্রিক পার্ক। একসময়ের টোব্যাকো ফ্যাক্টরি কমপ্লেক্সে অবস্থিত পার্কটি তাইপে শহরের সৃষ্টিশীল শিল্পকলার স্থানগুলোর একটি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে তাইপে সিটি গভর্নমেন্ট জায়গাটির সংস্কার করে ও এটিকে প্রদর্শনী হল, কনফারেন্স এরিয়া ও শিল্পকলা প্রদর্শনীর সুবিধাসহ একটি বড় পাবলিক পার্কে রূপ দেয়।
ল্যুভর পিরামিড, প্যারিস, ফ্রান্স
আকর্ষণীয় ল্যুভর পিরামিড কাচের তৈরি একটি কাঠামো। এটির অবস্থান ল্যুভর জাদুঘরের মূল ফটকের সামনে। চৈনিক-মার্কিন স্থপতি ইয়েও মিং এই স্থাপনার নকশা করেন।
প্যারিসে গেলে ল্যুভর পিরামিডে অবশ্যই যাওয়া উচিত। এটি একটি বিস্ময়কর স্থাপত্যকর্ম ও প্যারিস নগরীর বিখ্যাত স্থাপনাগুলোর একটি। সৌন্দর্য আর বিস্ময় দুটির জন্যই সুপরিচিত এই স্থান।
লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও ফিচার লেখক।
জেএমএস/জিকেএস