ঝিনাইদহের ঐতিহাসিক গোড়ার মসজিদ

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২২

আজাহারুল ইসলাম

ঐতিহাসিক গোড়ার মসজিদ। এটি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাট দৌলতপুর গ্রামে অবস্থিত।

মসজিদটি পঞ্চদশ শতাব্দীর রাজধানীখ্যাত শাহ মোহাম্মদাবাদে সুলতানি শাসনামলের স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন।

মসজিদের পূর্বদিকে আছে পুকুর ও ওজু করার সুব্যবস্থা। একটি বড় ও তিনটি ছোট গম্বুজ। বারান্দাসহ মসজিদটি বর্গাকৃতির।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৮৩ সালে খননের পর গম্বুজের কেন্দ্রস্থল ২ ফুটের মত ভাঙা দেখতে পান। একইসঙ্গে মসজিদের পাশে একটি কবরের সন্ধান পাওয়া যায়।

কবরটি গোড়াই নামের এক দরবেশের মাজার বলে অনেকের ধারণা। তাঁর নামানুসারে এ মসজিদকে ‘গোড়ার মসজিদ’ বলে ডাকা হয়।

মসজিদে পাঁচ ফুট প্রশস্ত দেওয়াল আছে। পূর্বদিকে তিনটি প্রবেশদ্বার। উত্তর ও দক্ষিণের দেওয়ালে দুটি বড় ও দুটি ছোট প্রবেশপথ এখন জানালা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

পশ্চিমের দেওয়ালে তিনটি মেহরাব আছে। পশ্চিম দেওয়ালে ৭-৮ ফুট লম্বা দুটি এবং উত্তর-দক্ষিণের দেওয়ালে দুটি কালো পাথরের স্তম্ভ আছে।

মসজিদের দেওয়ালে পোড়ামাটির পাতা-ফুলে শোভিত শিকল, ঘণ্টাসহ বিভিন্ন নকশা আছে। বাইরের দেওয়াল পুরোটাই পোড়ামাটির কারুকার্যে অলংকৃত। যা দেখে ভ্রমণপিপাসুদের অন্তরতৃষ্ণা আরও বহুগুণে বেড়ে যাবে।

সময়-সুযোগ পেলে একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন ঐতিহাসিক এ মসজিদ থেকে। যে কোনো স্থান থেকে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা শহরে পৌঁছতে হবে।

সেখান থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাট দৌলতপুর গ্রামে গেলেই দেখতে পাবেন মসজিদটি।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।