বাড়ি-গাড়ি বেচে, চাকরি ছেড়ে বিশ্বভ্রমণে বের হলেন দম্পতি

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২২

বিশ্বভ্রমণ সবার কাছেই স্বপ্নের। তবে সবার তো আর সাধ্য নেই বিশ্বের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ানোর। তবে বিশ্ব ঘুরে দেখার স্বপ্নপূরণে এক দম্পতি তাদের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পতি বেচে বেড়িয়ে পড়েছেন রাস্তায়। সঙ্গে তাদের ছোট্ট শিশু। বাবা-মায়ের কোলে চেপে শিশুটিও বেড়িয়েছে বিশ্বভ্রমণে।

বলছি মার্কিন দম্পতি ক্লো এগবার্ট (২৮) ও তার স্বামী জর্ডান (৩১) এর কথা। চাকরি ছেড়ে, সবকিছু বিকিয়ে ৫১ হাজার ইউরো হাতে নিয়ে তারা বেড়িয়েছেন বিশ্বভ্রমণে।

jagonews24

এরই মধ্যে তারা ১০৬ দেশে পা রেখেছেন। নিজেদের স্বপ্নপূরণে মরিয়া এই ভ্রমণপ্রিয় দম্পতি একে দেশে ঘুরছেন আর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছেন।

এই দম্পতির আবাসস্থ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটাহের ওরেমে। ২০১৯ সালের মে মাসে ফ্রান্সে চলে যান। সেখান থেকে তারা মাল্টা, ইতালি ও সুইজারল্যান্ড ঘোরেন।

তারপর জন্ম নেয় তাদের ছেলে লেনন। তার বয়স এখন ১৮ মাস। জন্মের পর থেকেই শিশুটি বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরছে দেশ হতে দেশান্তর। বর্তমানে এই দম্পতি আন্ডোরায় আছে। আর কিছুদিন পরেই তারা মোনাকো যাবেন।

jagonews24

ক্লো এগবার্ট একজন প্রাক্তন নির্বাহী সহকারী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের নেভাদার বাসিন্দা তিনি। এই নারী বলেন, ‘বিশ্বভ্রমণে নেশায় আমরা সবকিছু বিক্রি করেছি, ছেলেকে বিশ্ব দেখাতে চাই আমরা।

আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের সব দেশে পা রাখা। এ পর্যন্ত আমরা ১০৬ দেশে ভ্রমণ করেছি। এখনো ৮৯টি দেশে যেতে হবে।

jagonews24

অন্যদিকে জর্ডান ২০১৮ সালের মার্চ মাসে একটি বৈদ্যুতিক যানবাহন কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছিলেন। তবে প্রশিক্ষণকালীন সময়েই কোম্পানিটি দেউলিয়া ঘোষণা করে। জর্ডান বলেন, ‘আমাদের বাজেট কম থাকলে বিশ্বভ্রমণের নেশা কাটিয়ে উঠতে পারছি না।’

‘আমরা দুজনই প্রতিটি দেশ পরিদর্শনের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যদিও বিশ্বভ্রমণে বের হওয়ার পর করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন স্থানে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, তবে এখন আবার নতুন উদ্যোমে আমরা ঘুরছি। এই ভ্রমণে এখন পর্যন্ত আমাদের ৫০ হাজার পাউন্ডে বা ৫৬ লাখ ৯ হাজারের বেশি খরচ হয়েছে’ বলে জানান জর্ডান।

সূত্র: মিরর.কো.ইউকে

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।