বিশ্বের যেখানে ট্রেন চলে উল্টো পথে

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ০১ জুন ২০২২

ট্রেনে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে কখনো কি উল্টো রেলের কথা শুনেছেন! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যিই যে, উল্টো রেলে চড়েও আপনি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।

বিশ্বের ভ্রমণপিপাসুরা এই ট্রেনে চড়ার জন্য অনেক আগ থেকেই বুকিং দিয়ে রাখেন। এটিই নাকি বিশ্বের একমাত্র ‘উলো রেল’!

আপসাইড রেলওয়ে বা জার্মানির উপারটাল শ্বেবেবাহন। এই রেলওয়ে উপারটাল সানপেনশন রেলওয়ে নামেও বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এই রেললাইন ও রেলগাড়ি দেখলেও আপনি অবাক হয়ে যাবেন! মনে হবে, ঝুলন্ত অবস্থায় আছে এই রেলপথ। অনেকে আবার ভাববেন এটি বোধ হয় খেলনা রেলগাড়ি।

jagonews24

‘আপসাইড-ডাউন’ বা সাসপেনশন রেলওয়ে একটি এলিভেটেড মনোরেল। এই ট্রেন একটি ট্র্যাকের নীচে ঝুলন্ত অবস্থায় চলাচল করে। এই মনোরেলটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮৯৮ সালে।

১৯০১ সাল থেকে এই রেল চালু হয়। ১৯২৫ সাল নাগাদ এই রেলওয়ে ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে বহন করে মাইলফলক তৈরি করে। ২০১৯ সালে এই উল্টো রেলে ‘জেনারেশন ১৫’ অর্থাৎ নতুন রেলগাড়ি প্রতিস্থাপন করা হয়।

jagonews24

জার্মানির উত্তর রাইনের উপারটালে অবস্থিত এই মনোরেল শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করে রেলগাড়ি। এই রেলগাড়িতে চড়ে সেরা দৃশ্য অবলোকন করতে পেছনে সিটে বসতে হবে।

স্থানীয়রা যানজট এড়াতে এই উল্টো রেল ব্যবহার করেন। এই রেলের ফ্রিকোয়েন্সি প্রতি পাঁচ মিনিটে হয়, তাই কখসেনাপ দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয় না।

jagonews24

এই ট্রেন মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই ২০টি স্টেশন অতিক্রম করে আবারও মূল কেন্দ্রে পৌঁছায়। পর্যটকদের জন্য এই রেলে উঠতে জনপ্রতি গুনতে হয় ৭.৩০ ইউরো অর্থাৎ প্রায় ৭০০ টাকা আর স্থানীয়দের জন্য ৩ ইউরো অর্থাৎ ২৮৫ টাকা।

বর্তমানে এই সানপেনশন রেলপথ একটি ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠেছে। ওই অঞ্চলের আইকনিক প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত রেলওয়েটি। স্থানীয়রা এটি নিয়ে গর্ববোধ করেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।