মাটির ৬৩০ ফুট গভীরে মিললো বিশাল বনাঞ্চল
মাটির নিচেও কি বনাঞ্চল থাকা সম্ভব! ভাবতে অবাক লাগলেও সত্যি হলো বিষয়টি। মাটির ৬৩০ ফুট গভীরে সিঙ্কহোলের খোঁজ পেয়েছেন চীনের বিজ্ঞানীরা।
আর এই সিঙ্কহোলের ভেতরে বিশাল এক বনাঞ্চলের আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। এরই মধ্যে এ সিঙ্কহোলে থাকা বনাঞ্চলের ছবি ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে।
প্রকৃতিতে হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া বিশালাকার গর্ত সিঙ্কহোল নামে পরিচিত। সম্প্রতি চীনা বিজ্ঞানীরা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াঞ্জি ঝুয়াং স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে ৬৩০ ফুট গভীর এক সিঙ্কহোল খুঁজে পেয়েছেন। লেই কাউন্টির পিংই গ্রামের কাছে গুয়াংজি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলেই এই সিঙ্কহোলের অবস্থান।
এর ভেতরেই লুকিয়ে রয়েছে বিশাল এক প্রাচীন বনাঞ্চল। এই বনাঞ্চলে এর আগে কখনো মানুষ প্রবেশ করেনি বলেই দাবি করেছেন চিনের বিজ্ঞানীরা।
সিঙ্কহোলের গভীরতা ৬৩০ ফুট, দৈর্ঘ্য ১০০০ ফুট ফুট ও প্রস্থ ৪৯০ ফুট। সম্প্রতি আবিষ্কার হওয়া বিশাল সিঙ্কহোলের ভেতর যে বনাঞ্চলের খোঁজ মিলেছে সেখানে বিশালাকার সব গাছও আছে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, মাটির গভীরের সেই বনাঞ্চলে ১৩১ ফুট বা ১৩ তলা ভবনের সমান গাছের অস্তিত্বও আছে। যা রীতিমতো অবাক করে দিয়েছে সবাইকে।
চীনা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সিঙ্কহোলটির ভেতরের প্রবেশের ৩টি পথের হদিস পেয়েছেন তারা। মাটির গভীরে থাকা গাছগুলো সিঙ্কহোলের ফাঁক দিয়ে গাছগুলো সূর্যের দিকে মুখ করে বেড়ে উঠেছে।
গবেষক দলের প্রধান চেন লিক্সিন বলেন, সিঙ্কহোলের ভেতর যেমন ছোট গাছ আছে তেমনই আছে ১৩১ ফুটের বিশালাকার গাছও। এই সিঙ্কহোলে এমন কিছু আবিষ্কারের সম্ভাবনা আছে, যা আগে কখনোই দেখা যায়নি।
এর আগে মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে সিঙ্কহোলের সন্ধান পাওয়া যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কেভ অ্যান্ড কার্স্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এনসিকেআরআই) নির্বাহী পরিচালক জর্জ ভেনি লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি সত্যিই একটি দুর্দান্ত খবর।’
সূত্র: লাইভসায়েন্স/এনডিটিভি
জেএমএস/জেআইএম