বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্কুলে পড়ার খরচ কত?

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২২

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্কুল। যেখানে বছরে শিক্ষার্থীর গুনতে হয় এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মার্কিন ডলার। ‘ইনস্টিটিউট লি রোজি’ নামক এই ব্যয়বহুল স্কুলের অবস্থান সুইজারল্যান্ডে।

ইউরোপীয় এই দেশে প্রায় ১০টি ব্যয়বহুল স্কুল আছে যেগুলোর বার্ষিক খরচ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি নয়। তবে ইনস্টিটিউট লি রোজিতে পড়তে শিক্ষার্থীকে এর প্রায় দ্বিগুণ অর্থ গুনতে হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্কুলে পড়ার খরচ কত?

‘রাজাদের স্কুল’ হিসেবেও পরিচিত এটি। জানা যায়, স্পেনের রাজা জুয়ান কার্লোস, মিশরের রাজা দ্বিতীয় ফুয়াদ ও বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় আলবার্ট এরা সবাই এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন।

এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ইউরোপের কিছু সুপরিচিত পরিবারের সন্তানেরা এই স্কুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। এখানে পড়তে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে বছরে গুনতে হয় ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্কুলে পড়ার খরচ কত?

১৮৮০ সালে পল কার্নাল ইনস্টিটিউট লি রোজি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি বোর্ডিং স্কুল। দুটি ক্যাম্পাস আছে এই স্কুলের। জেনেভা লেকের ধারে লি রোলে একটি বিস্তৃত কমপ্লেক্স, অলিম্পিক-আকারের সুইমিং পুল, টেনিস কোর্ট, শুটিং রেঞ্জ, স্কিইং ব্যবস্থা। একটি অশ্বারোহী কেন্দ্র সব ধরনের সুযোগ সুবিধাই আছে সেখানে।

সেখানকার সুযোগ-সুবিধাগুলো সবাইকে আকর্ষিত করে। স্কুলটিতে মোট ৪২০ জন ছাত্রের জন্য ১৫০ জন শিক্ষক আছে। প্রতি ক্লাসে গড়ে ১০ জনেরও কম ছাত্র আছে। প্রতিটি ছাত্রকেই যেন শিক্ষকরা গুরুত্ব দিতে পারেন তা নিশ্চিত করা হয় সেখানে।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্কুলে পড়ার খরচ কত?

প্রতিবছর এই স্কুলে ভর্তির আবেদনও পড়ে অনেক। ৭-১৮ বছর বয়সী প্রতি ৪০০ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩০ জন ইনস্টিটিউট লি রোজিতে ক্লাস করার সুযোগ পায়। সেখানে মাত্র ৩ জন প্রতিবছর বৃত্তি পান। বাকিদের গুনতে হয় ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

ইউরোপের অন্যান্য বোর্ডিং স্কুলের তুলনায় ইনস্টিটিউট লি রোজি ব্যয়বহুল হওয়ার কারণ হলো সেখানকার সুযোগ-সবিধা ও শিক্ষাদানের ভিন্নধর্মী পরিবেশ। তবে লি রোজির তুলনায় ইংল্যান্ডের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় বোর্ডিং স্কুল ‘ইটন’ এর বার্ষিক টিউশন ফি অর্ধেকেরও কম।

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।