একসঙ্গে চা বাগান, পাহাড় ও ঝরনার দেখা পাবেন যেখানে

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২১

ইসতিয়াক আহমেদ

ছোট্ট একটি দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তবে রূপে সে অনন্য। নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ একটি ব-দ্বীপ হলেও অল্প কিছু পাহাড়-পর্বতের ভাগীদার সে।

বলছিলাম বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সীমান্তবর্তী একটি জেলার কথা। মোহনীয় সৌন্দর্যের জন্য অনবদ্য এই জেলা।

এলাকাটি এককালে কার্পাস মহল নামে পরিচিত ছিল। পরে নদীর নামে এর নামকরণ করা হয় খাগড়াছড়ি।

খাগড়াছড়ির একটি উপজেলা রামগড়। অপরূপ খাগড়াছড়ির পার্বত্য সৌন্দর্য যেন তার পূর্ণরূপ পেয়েছে এই রামগড়ে এসে।

jagonews24

এখানে আছে দুর্গম পাহাড়, বুনো অরণ্য, সাজানো চা বাগান, গতিশীল ঝর্ণাধারা আর বৈচিত্র্যময় নৃতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের হাতছানি।

এই সীমান্ত শহরে ঢুকতেই দেখবেন ১,৪০০ একরের বিশাল রামগড় চা বাগান। পঞ্চাশের দশকে স্থাপিত এই চা বাগান। এখান থেকে প্রতিদিন ১৬ হাজার কেজি সবুজ পাতা উত্তোলন করা হয়।

বাগানের কেন্দ্রস্থলে আছে প্রকাণ্ড লেক। পুনঃসংস্কারকৃত এই লেকে শীতকালে ভরে যায় পাখির কলকাকলিতে। হাজার হাজার অতিথি পাখি আশ্রয় নেয় লেকটিতে।

দেশের অনেক পাখিপ্রেমী এ সময় ভিড় জমায় সেখানে। এজন্য আপনার পাখিপ্রেমী হওয়ার প্রয়োজন নেই।

jagonews24

যদি ন্যূনতম প্রকৃতিপ্রেমী হন তাহলে বিমোহিত হয়ে যাবেন এই স্থানের সৌন্দর্যে। রামগড় বাগানের মধ্য দিয়ে চলে গেছে ফেনী-খাগড়াছড়ি সড়ক।

এই পথে ছুটে চলা হাজারও যাত্রীর দেহ মন প্রাণ জুড়িয়ে দেয় রামগড় চা বাগান। যেন মনে হয় চারদিকে সবুজ গালিচা পেতে রাখা!

jagonews24

কীভাবে যাবেন?

ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা ফেনী থেকে সহজেই যাত্রীবাহী কোচ বা বাসযোগে যাওয়া যায় রামগড় ও খাগড়াছড়িতে।

ঢাকার কমলাপুর, ফকিরাপুল,সায়েদাবাদ প্রভৃতি স্থানেও আছে খাগড়াছড়ির বাস কাউন্টার। এসব স্থান থেকে সৌদিয়া, শ্যামলী, এস আলম, শান্তি পরিবহন প্রভৃতি চেয়ারকোচের নৈশ ও দিবা সার্ভিস আছে।

jagonews24

রামগড় ভ্রমণ শেষে এখান থেকে বাস ছাড়াও সিএনজি চালিত অটোরিকশা কিংবা চাঁদেরগাড়ি রিজার্ভ করে আলুটিলায় যাওয়া যায়।

ফেনীর মহিপাল ও চট্টগ্রামের অক্সিজেন বাস টার্মিনাল থেকে রামগড় ও খাগড়াছড়ির বাস ছেড়ে আসে।

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।