একদিনেই ঘুরে আসুন বিখ্যাত শশী লজে
দেশের বিখ্যাত ঐতিহাসিক এক রাজবাড়ি হলো শশী লজ। এটি ময়মনসিংহের রাজবাড়ি বলেও খ্যাত। ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের রাজবাড়িটিই শশী লজ নামে পরিচিত। এটি দেশের একটি অন্যতম নিদর্শন।
ব্রহ্মপুত্র নদের অদূরেই অবস্থিত শশী লজ। ১৯৫২ সাল থেকে শশী লজ ব্যবহৃত হচ্ছে নারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে।
প্রতিদিনই এই রাজবাড়িতে দেখা যায় পর্যটকের ভিড়। একদিনের ট্যুরে যারা ঢাকার বাইরে ঘুরতে যেতে চান, তারা অল্প খরচেই ঘুরে আসতে পারেন ময়মনসিংহের শশী লজ থেকে।
জানা যায়, ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে ৯ একর জমিতে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন সূর্যকান্ত।
তিনি ছিলেন নিঃসন্তান। তবে তার দত্তক পুত্র ছিলেন শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী। তার নাম অনুসারেই রাজবাড়ির নাম দেওয়া হয় ‘শশী লজ’।
বিখ্যাত এই রাজবাড়ি ১৮৯৭ সালের ১২ জুন গ্রেট ইন্ডিয়ান ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়। পরবর্তীতে ১৯০৫ সালে একই স্থানে নতুনভাবে শশী লজ নির্মাণ করেন পরবর্তী জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী।
১৯১১ সালে শশী লজের সৌন্দর্য বাড়াতে তিনি বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন। শশীলজের মূল ফটকে আছে ১৬টি গম্বুজ।
রাজবাড়ির প্রায় প্রতিটি ঘরেই আছে একই রকমের ঝাড়বাতি। আরও আছে জলসাঘর ও বড় স্নানঘর।
স্নানঘরের ভেতরে আছে একটি সুড়ঙ্গ। ধারণা করা হয়, এই সুড়ঙ্গপথে মুক্তাগাছা যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। মূল ভবনের পেছনে আরও একটি স্নানঘরের দেখা পাবেন।
রাজবাড়ির পেছনে আছে একচিলতে উঠান। সেটি পার হলেই দেখা মিলবে জলাশয়ের। এর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে দু’টি ঘাট আছে। শশী লজের মূল ভবনের সামনে আছে একটি বাগান।
এর মাঝখানেই দেখতে পাবেন শ্বেতপাথরের ফোয়ারা। সেখানেই আছে গ্রিক দেবী ভেনাসের স্নানরতা মর্মর মূর্তি।
বাগানের ঠিক পেছনেই লাল ইট ও হলুদ দেওয়ালে নির্মিত শশী লজ। এর পাশেই দেখতে পাবেন বিস্ময়কর পদ্মবাগান।
কীভাবে যাবেন শশী লজে?
ঢাকা থেকে প্রথমে ময়মনসিংহে যেতে হবে। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে আড়াই থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা লাগতে পারে।
বাস থেকে নামবেন মাসাকান্দা বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে অটোতে বা রিকশায় চলে যেতে পারবেন শশীলজ বা ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে। এছাড়াও ঢাকা-তিস্তা এক্সপ্রেসেমর চড়ে ময়মনসিংহ পৌঁছাতে পারবেন।
জেএমএস/এএসএম