গা ছমছম করা ‘জঙ্গল পার্ক’ ভালো লাগার ‘ওয়াটার ওয়ার্ল্ড’

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩০ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

দীর্ঘ নয় ঘণ্টার আকাশ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের ইফতাম্বুল প্যালেস হোম হোটেলের রিসিপশনে পৌঁছাতেই তখন বিকেল চারটা বেজে গেছে। প্রত্যেকে পৃথক রুমের চাবি হাতে বুঝে নিতেই আয়োজক টার্কিশ এয়ারলাইনসের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার এমরাহ কারাজাহ উপস্থিত মিডিয়াকর্মীদের উদ্দেশে বললেন, ‘আজ সিডিউলে কোনো প্রোগ্রাম নেই। আজ রেস্ট নিন।’

পাশাপাশি তিনি এ-ও বললেন, ‘ঠিক সাড়ে চারটার সময় হোটেলের একজন গ্রুপ অ্যান্ড ব্যাংকুয়েট সেলস সুপারভাইজার আইনুর শিফটচি আপনাদের সকলকে হোটেলের আশপাশের জঙ্গল, পাহাড়, থিম পার্ক ইত্যাদি ঘুরিয়ে দেখাবেন।’

Turkey

একথা শুনে রীতিমতো চান্দি গরম। হোটেলে ঢুকতেই সহজে একটা বেজে যাবে, তাহলে সাড়ে চারটায় কীভাবে হোটেল লবিতে থাকব? তিনি শুনে সময় পাঁচটা করে দিলেন এবং জানালেন দেরি করে বের হলে থিম্প পার্ক দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। থিম পার্ক ঠিক আটটার সময় বন্ধ হয়ে যায়।

Turkey

এ কথা বলে তিনি বিদায় নিলেন। পাঁচটার সময় হোটেল লবিতে নেমে দেখি ওই মেয়েটি হাজির। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তিনি লিফটের মাইনাস ২-এ চেপে নিচে নামলেন। লিফট থেকে নামতেই চোখে পড়ল চোখ ধাঁধানো শপিং মল। একটু দ্রুত পা চালাবার তাগিদ দিয়ে তিনি এগিয়ে গেলেন। হঠাৎ চোখে পড়ল জঙ্গল পার্কের সাইন বোর্ড। খুব একটা ভালো কিছু হবে না ধরে নিয়ে জঙ্গল পার্কে প্রবেশ করতেই একের পরে এক সারপ্রাইজ।

Turkey

কৃত্রিমভাবে তৈরি করা জঙ্গলের ভেতর গা ছমছম পরিবেশ, কোথাও বানর কোথাও হনুমান, কোথাও অজগর, বিষধর সাপ জীবন্ত নড়াচড়া করছে গাছের ডালে। কোনোটার নাম জানা আবার কোনোটার অজানা। বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন আকারের পশুপাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনে মনে হবে এক ভিন্ন জগত। আঁকাবাঁকা পথ গিয়ে মিশেছে ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে। স্বচ্ছ কাঁচের অ্যাকুরিয়ামে ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের রঙে রঙিন মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে চোখের সামনে।

Turkey

জঙ্গল পার্ক থেকে বেরিয়েই সামনে হাটা পথ দূরত্বে থিম পার্ক। থিম পার্কে যখন পৌঁছাই তখন সন্ধ্যা ছয়টা। প্রবেশ করতে গিয়েই নিরাপত্তারক্ষীর বাধা। সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই আজ আর প্রবেশ করা যাবে না। আকাশের দিকে তাকিয়ে রোদেলা বিকেল দেখে মিডিয়া টিমের সবাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে বিস্মিত দৃষ্টি নিয়ে গাইডের কাছে ব্যাপারটিা কী জানতে চাইলাম। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানালেন, এমনিতে ৮টায় বন্ধ হয়, কিন্তু ছয়টায় বন্ধ হয়ে গেছে।

এমইউ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।