পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণ করবেন কেন?

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে আগের তুলনায়। সমুদ্র তীরে হাঁটার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে। রাতের আলো ঝলমল পরিবেশ যেন অপরূপ দৃশ্য। ঘুরে এসে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন-

পতেঙ্গা চট্টগ্রাম শহরের সমুদ্রসৈকত যা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বন্দরনগরী থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম শহরের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ঘাঁটি বিএনএস ঈসা খান পতেঙ্গার সন্নিকটে অবস্থিত। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের অনেক জেটি ও নেভাল একাডেমি এখানে অবস্থিত।

potenga-in

এখানে সবচেয়ে ভালো লাগবে সন্ধ্যার পরিবেশ। সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের দৃশ্য মনকে আরো বেশি পুলকিত করবে। সুতরাং সৈকতে থাকতে পারবেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। এখানে রয়েছে ২০ টাকায় ঘোড়ার পিঠে চড়ার সুযোগ। সেইসাথে আছে ৩০ টাকায় স্পিড বোট কিংবা কাঠের নৌকায় ওঠার সুযোগও।

জাহাজের চলাচল কিংবা মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া উড়োজাহাজও দেখবেন। ডিজিটাল ক্যামরা বা ডিএসএলআর দিয়ে ছবি তোলার জন্য রয়েছে অসংখ্য ফটোগ্রাফার। চাইলে টাকার বিনিময়ে সুন্দর সুন্দর ছবিও তুলতে পারবেন তাদের মাধ্যমে।

potenga-in

সাধারণত বিকেল গড়াতে থাকলে জোয়ার আসতে শুরু করে। জোয়ার শুরুর আগে বাঁধ অনেকটা তলিয়ে যায়। তীরে এসে পড়ে ঢেউ। সৈকতে আছে বার্মিজ মার্কেট। সেখানেও ঘুরেফিরে পছন্দের কেনাকাটা সেরে নিতে পারেন। একবার পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে পা রাখলে আপনার আর ফিরতে ইচ্ছে করবে না।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।