এবার ট্রেনের টিকিট কিনতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র
এখন থেকে ট্রেনের টিকিট কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্তঃনগর ১৫টি ট্রেনের টিকিট কিনতে এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে ১৮ বছরের নিচের যাত্রীদের জন্য জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন, অপ্রতুলতা, কাউন্টার স্বল্পতা, জালিয়াতি- যাত্রীদের এমন সব অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাই কালোবাজারি প্রতিরোধ ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করছে রেলওয়ে।
> আরও পড়ুন- ভ্রমণের আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। এতে টিকিট জালিয়াতি প্রতিরোধ সম্ভব হলেও যাত্রীদের বিড়ম্বনা বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। অনেকে আবার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
টিকিট কাউন্টারে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, জনবলের অভাবে এ উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হবে। কারণ এ পদ্ধতিতে টিকিট দিতে সময় বেশি লাগছে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ৪টি টিকিটি কেনা যাবে। প্রতিটি টিকিটেই লেখা থাকবে একজনের নাম।
> আরও পড়ুন- ভ্রমণের সবকিছু এখন অনলাইনেই
যাত্রীরা বলছেন, এতে ঝামেলা বাড়ার পাশাপাশি, এক পরিচয়পত্রে কতবার টিকিট নেওয়া যাবে, স্ট্যান্ডিং টিকিট, ভ্রমণকারী ব্যক্তি আসল কি-না, এসব ব্যাপারে সমাধান কী হবে? এ পদ্ধতিতে যদি একজন ব্যক্তি তার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে বারবার ৪টি করে টিকিট কিনে বিক্রি করে, তাহলে তার কী সমাধান হবে? এমন কোন পদ্ধতি আছে যে, একটি এনআইডির বিপরীতে চারটির বেশি টিকিট কাটা যাবে না?
তবে ভোক্তা অধিকার বলছে, টিকিট কালোবাজারি রোধে জাতীয় পরিচয়পত্র কোনো সমাধান হতে পারে না। উন্নত সার্ভার আর জনবল সংকটের কারণে এর উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রেলের কয়েকজন কর্মকর্তা। টিকিট জালিয়াতি বা প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হলে, অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এসইউ/পিআর