স্থাপত্য নির্দশন শেরপুরের রং মহল

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৮

শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য নির্দশন তিনআনি জমিদারদের রং মহল। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে পৌনে তিনআনি জমিদার কিশোরী মোহন চৌধুরীর আমলে রং মহল, শীষ মহলসহ নানা সৌধ নির্মাণ করা হয়। সময়-সুযোগ পেলে ঘুরে আসুন একবার।

বৈশিষ্ট্য
অপূর্ব কারুকার্যখচিত ভবনগুলোর মধ্যে উত্তর-দক্ষিণে প্রলম্বিত রং মহলের তিন অংশের প্রথম অংশ জমিদারদের খাস দরবার কক্ষ ও জলসা ঘর। দ্বিতীয় অংশে জমিদারদের খাস কামরা এবং তৃতীয় অংশে নায়েব-ম্যানেজারের কাচারি। রং মহলের প্রবেশ পথে দুটি দরজা। ডানদিকের দরজা বরাবর টানা লম্বা করিডোর। করিডোর ও ভেতরের অর্ধেক দেয়ালজুড়ে বিরাজ করছে রঙিন চিনাপাথরের ফ্রেসকো ও ফুল লতা-পাতার আঁকা টালি। রং মহলের ডানদিক ঘেঁষে শানবাঁধানো পুুকুর। পানিতে জলসা ঘর প্রতিবিম্বিত হয়। দীর্ঘ করিডোর ধরে প্রতিটি কক্ষে দরজার পাশে পিতল ও পাথরের নানা মূর্তি আর বিরাট আকারের ফুলদানি।

sherpur-cover

লাইব্রেরি
জমিদার পরিবার ছিলো শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা। তাদের জয় কিশোর লাইব্রেরি ভবন, অন্নপূর্ণা-গোপীনাথের মন্দিরে রয়েছে প্রাচ্য, পাশ্চাত্য ও মুসলিম স্থাপত্যরীতির অপূর্ব সমন্বয়। লাইব্রেরিতে ছিলো পাঁচ হাজারেও বেশি বই। অধিকাংশই বিজ্ঞান বিষয়ক।

সংস্কার
জমিদার বাড়িটিকে কৃষি প্রশিক্ষণালয়ে রূপান্তরিত করা হলে লাইব্রেরি ভবনটি ভেঙে টিনশেডের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হয়। একসময় কৃষি প্রশিক্ষণালয়ের প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহার হলেও এখন ব্যবহার হচ্ছে না।

জরাজীর্ণ
ভবনটি এতোই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। স্থানে স্থানে সুরকির গাঁথুনি নড়বড়ে। পলেস্তরা খুলে পড়ে যায় যখন তখন। তাই স্থাপত্যগুলোর প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।