ভগবান টিলা : পাহাড়ের আরেক সাজেক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ০৩:৪২ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সামনে চোখ জুড়ানো দিগন্ত জোড়া সবুজ পাহাড়। পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে আসা ঝরনাধারা। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বহমান বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিভাজন রেখা তৈরি করা ফেনী নদী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৬শ’ ফুট উপরে অবস্থিত ভগবান টিলা। এ টিলা হয়ে উঠতে পারে ‘পাহাড়ের আরেক সাজেক’। জনশ্রুতি আছে, ভগবান টিলা থেকে ডাক দিলে স্বয়ং ভগবান তা শুনতে পান।

স্থানীয়দের কাছে বি-টিলা নামেই অধিক পরিচিত এটি। মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের শেষপ্রান্তে ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা তাইন্দংয়ে অবস্থিত ‘ভগবান টিলা’। টিলাটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে পাহাড়ের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে- এমনটিই মনে করছেন স্থানীয়রা।

Khagrachari

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা থেকে সোজা উত্তরে বালাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী ‘ভগবান টিলা’। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে উত্তর-পশ্চিমে এর কৌণিক দূরত্ব আনুমানিক ৮৫ কিলোমিটার। সবুজের বুকে আঁকাবাঁকা আর উঁচু-নিচু পথ শেষে অবস্থিত এ টিলা। টিলায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। সবুজে ঘেরা বাঁশের ঝোঁপ, নাম না জানা নানা ধরনের পার্থিব ডাক আর পাহাড়ের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝরনার কলকল শব্দ মিলিয়ে হারিয়ে যাওয়ার এক অনন্য স্থান।

Khagrachari

নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ভগবান টিলাকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার দাবি উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে। তাদের মতে, ভগবান টিলাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে ভিড় করবে দেশ-বিদেশের হাজারও ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। বদলে যাবে তাইন্দংয়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থা।

Khagrachari

বান্দরশিং এলাকার অধিবাসী নিহার বিন্দু চাকমা জানান, ভগবান টিলা ছাড়াও এখানে রয়েছে একাধিক ঝরনাধারা। যা ইতোমধ্যে স্থানীয়দের ভ্রমণের উৎস হয়ে উঠেছে। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. ইউনুছ মিয়ার মতে, ভগবান টিলাকে ঘিরে পর্যটনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে বেড়াতে আসা অনেকেই উপভোগ করছেন এর সৌন্দর্য।

তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাজেকে বসে মেঘের খেলা দেখতে দলে দলে পর্যটকরা সাজেক ছুটছেন। এখানেও দলবেঁধে মানুষ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসবে। এখানকার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অবস্থিত ‘ভগবান টিলা’ এ জনপদে অর্থনীতির দুয়ার খুলে দিতে পারে।’

Khagrachari

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষন কান্তি দাশ বলেন, ‘পাহাড় আমাদের সম্পদ। ভগবান টিলা এক সম্ভাবনাময় পাহাড়। পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় সম্ভাব্যতা যাচাই করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।