মৌলভীবাজারের স্বপ্নীল জগৎ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

মৌলভীবাজারে সারা বছর পর্যটকদের যাতায়াত থাকলেও শীত মৌসুমে তা বেড়ে যায়। এ সময়ে পর্যটকদের পদচারণায় পূর্ণতা পায় জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো। ভ্রমণপিয়াসী মানুষ একটু অবকাশ যাপনের সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন মৌলভীবাজারের আকর্ষণে।

tea-city

জেলার প্রবেশদ্বার মুছাইয়ে স্মৃতি ভাস্কর্য ‘চা কন্যা’ যেন তাদের অভিবাদন জানাতে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া পথ চলতে চলতে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে সজীব করবে চা পাতার গন্ধ। রাস্তার দু’পাশে সারি সারি চা বাগান যেন সবুজ চাদরে মোড়া কোন এক স্বপ্নীল ভূমি। যে দিকে যাবেন শুধু সবুজ আর সবুজ। এর পর্যটন স্পটগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

tea-city

শিল্পসমৃদ্ধ মণিপুরীসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, শ্রীমঙ্গলের নীলকণ্ঠের সাত রঙের চা, আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, চা গবেষণা কেন্দ্র, কুলাউড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাববাড়ি, মুরইছড়া ইকোপার্ক, গগন ঠিলা, দোলনচাপা ইকোপার্ক, মৌলভীবাজার সদরের বর্ষীজোড়া ইকোপার্ক, মুন ব্যারেজসহ বিভিন্ন চা বাগানের জীবনধারা ও সংস্কৃতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ জনপদ যে কারো মন কেড়ে নেবে।

tea-cityনয়নাভিরাম আনন্দঘন পরিবেশে পাহাড়ের বুক চিড়ে বয়ে চলা ঝরনাধারার কলকল ধ্বনি। বড়লেখার মাধবকুণ্ড ও কমলগঞ্জের হামহাম জলপ্রপাতের সৌন্দর্য মনের বিষণ্নতা ক্ষণিকের জন্য হলেও দূর করে দিতে পারে। জেলার কমলগঞ্জের মাধবপুর লেক, ধলই বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি, শমশেরনগর বিমানবন্দর, হরি নারায়ণ দীঘি, বিভিন্ন পাখিবাড়ি, রাজনগরের পাঁচগাঁওয়ে কমলা রানির দীঘি, দেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওর ও শ্রীমঙ্গলের বাইক্কাবিলের রূপ এবং হাইল হাওর আনন্দ সহযাত্রী হতে পারে।

এ ছাড়া রয়েছে উঁচু-নিচু টিলায় ৯২টি চা বাগান। পাথারিয়া পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, কমলগঞ্জের আদমপুর ও মাধবপুরের মণিপুরী সম্প্রদায়ের বসবাস বিমোহিত করবে। মণিপুরী তাঁতে বোনা কাপড়ের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। মাধবপুরের মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি অবসরে আনন্দের খোরাক হতে পারে।

tea-city

শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের দিকে এগোলেই চোখে পড়বে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। উদ্যানটি দেশি-বিদেশি দুর্লভ প্রজাতির গাছে পরিপূর্ণ। এর গভীরে বাস করে হরিণ, সরীসৃপ, বানর, ভাল­ুকসহ নানা প্রজাতির পাখি। পর্যটকদের নিরাপদ থাকা-খাওয়ার জন্য মৌলভীবাজার সদর ও শ্রীমঙ্গলসহ সব উপজেলায় রয়েছে রেস্ট হাউজ এবং রেস্টুরেন্ট।

tea-city

২৫০ থেকে ৭০০ টাকা ভাড়ায় ঢাকা থেকে ট্রেনে শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, শমশেরনগর ও কুলাউড়া স্টেশনে নামতে হবে। বাসে এলে মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় নামতে পারেন। এরপর সিএনজি, বাস, অটোরিকশা ও ট্যাক্সিতে যাওয়া যায়। প্রতিটি স্পটে পর্যটন গাইড রয়েছে।

tea-city

থাকা-খাওয়ার জন্য শ্রীমঙ্গলে হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান অ্যান্ড গলফ, কুলাউড়ায় সিআরপি রেস্ট হাউজ, কমলগঞ্জে হীড রেস্ট হাউজ, বনবিভাগের রেস্ট হাউজ, দুসাই রিসোর্ট, গগন ঠিলা, রাঙ্গাউটি রেস্ট হাউজসহ অর্ধশতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের ব্যবস্থা রয়েছে।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।