ফুল-চাষ

পঞ্জিকা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় বসন্ত ঋতু। এই সময় গাছগুলো ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। বাতাসে মৌমৌ ঘ্রাণ বিরাজ করে। দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততা থেকে একটু জিড়িয়ে নিতে মানুষ সপ্তাহান্তে বিভিন্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভিড় জমায়। বাসা বাড়ির আঙিনাগুলোও ফুলে ফুলে রঙিন হয়ে উঠে। সেখানে ফুলের বাগানে দেখা মেলে ব্যস্ত মৌমাছির। পাখিরাও এসময় ব্যস্ত সময় পার করে। ছবিতে দেখে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়ার বসন্তকালের কিছু চিত্র। ছবি: মো. ইয়াকুব আলী

শখের বশে সাভারের আশুলিয়ায় নিজ বাসার ছাদে দৃষ্টিনন্দন বাগান গড়ে তুলেছেন ফারজানা চৌধুরী নামের এক নারী।

দূর থেকে দেখে মনে হবে বিশাল হলুদ গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে। তবে কাছে গেলে চোখে পড়বে বাতাসে দুল খাচ্ছে হাজারো সূর্যমুখী ফুল।

বর্ষা আসতে এখনো ঢের দেরি। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ফুটেছে কদম ফুল।

প্রকৃতির চিরাচরিত নিয়মে চৈত্র মাসেই দেখা মিলে বিজু ফুলের। এই ফুল পাহাড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে ভিন্ন নামে পরিচিত। চাকমারা ‘ভাত জোড়া ফুল’, ত্রিপুরারা ‘কুমুইবোবা’, মারমারা ‘চাইগ্রাইটেং’, সাঁওতালরা ‘পাতাবাহা’, কারো কারো কাছে ‘ভিউফুল’ নামেও পরিচিত।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের কৃষকেরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

করোনার সময় মানুষ যখন ঘরে বন্দি জীবন-যাপনে অতিষ্ঠ ঠিক সেই সময় বাগান  গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন কলেজ শিক্ষার্থী মরিয়ম নাহার মৌ। আর সেই স্বপ্ন পূরণে ৩৫০ টাকার একটি গাছ নিয়ে বাগানের কাজ শুরু করেন তিনি। প্রথমে নিজেদের মাত্র ৩ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ শুরু করলেও বর্তমানে ১০ শতাংশ জমিতে মরিয়মের বাগান।

যে বয়স কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার, সহপাঠীদের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠায় সে বয়সে নিজের পেট চালানোর জন্য ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে দুরন্ত শিশু নুসরাতকে।

গ্লাডিওলাসের আদি নিবাস আফ্রিকায়। এর ইংরেজি নাম ‘গ্লাডিওলাস এসপিপি’। এ গাছের পাতা দেখতে ছুরির মতো। তাই একে ‘সোর্ড লিলি’ ও বলা হয়। মাঝখানের ডাটার আগায় বড় বড় ফুল, নানা রঙ ও গড়ন। প্রথম ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যথাসম্ভব গোঁড়ার দিকে ধারালো ছুরি দিয়ে ডাটা কাটতে হয়, পরে ফুলদানিতে একে একে সবগুলো ফুল ফোটে।

শরীয়তপুরের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ এখন কালোজিরার হালকা নীলাভ ফুলের দখলে। এই ফুলকে উপলক্ষ করে জমিগুলোর পাশেই বসানো হয়েছে সারি সারি মৌবাক্স।

চারদিকে হালকা কুয়াশার মাঝেই উঁকি দিয়েছে সোনালী সূর্য। মিষ্টি রোদে ঝলমলে হয়ে উঠেছে চারপাশ। রাস্তার দুইধারে ফুটে আছে বাহারি রঙের ফুল। প্রথম দেখায় যে কারোর মনে হতে পারে এটা কোনো ফুলের বাগান। তবে মুহূর্তেই বিভ্রম কেটে যাবে। কারণ এটা ফুলের বাগান নয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বলছিলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে কত রকম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের আলোচিত ছবি।

চারদিকটা বেশ সাজানো গোছানো। মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে ভেতরের ঢোকার রাস্তা পুরোটাই সেজেছে বাহারি রংয়ের গাঁদা ‍ফুলে। রঙিন হয়ে উঠেছে শরীয়তপুরের পুরো পুলিশ লাইন চত্বর। লাইনের বাইরে ও ভেতরে ফুলের এমন সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে দর্শনার্থীদের।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের ডিসি পার্ক সাজানো হয়েছে হরেক রকম ফুল দিয়ে। ১৯৪ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা এ বাগানে রয়েছে ১২৭ প্রজাতির লক্ষাধিক ফুলের চারা। 

শীতে ফুটে নানা রকম ফুল। ফুলপ্রেমী নগরবাসী এ সময় পছন্দমতো ফুলের চারা কিনতে ছুটেন আশপাশের নার্সারিগুলোতে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নে তিন একর পরিত্যক্ত জায়গা ভাড়া নিয়ে একটি ফুলের বাগান গড়ে তুলেছেন সাত বন্ধু মিলে।

শখ এখন পেশা। ফুল-ফল চাষ করেই স্বাবলম্বী ইসমাইল খান শামীম নামের এক উদ্যোক্তা। আম বাগানের পাশাপাশি নিজ বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন মরুভূমির ফুল অ্যাডেনিয়াম বা ডেজার্ট রোজের বাগান। এখন সেই বাগানে আছে ৮০ রকমের অ্যাডেনিয়াম বা মরুর গোলাপ।

চীনের একটি দৃষ্টিনন্দন গ্রাম হচ্ছে ইয়াংলিং। সেখানে চাষ হচ্ছে ফুল ও ভেষজ। যার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছেন গ্রামের অধিবাসীরা। দেখুন ছবিতে-

বর্ষাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফোটে সুদৃশ্য কদম ফুল। রাজধানীর বিভিন্ন পার্কেও ফুটেছে এ ফুল। পুষ্পপ্রেমীদের কাছে কদম ফুল খুবই প্রিয়। রাজধানীর অনেক স্থানে কদম ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে কিছু পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষ।

গোলাপ ফুল পছন্দ করেন না এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। গোলাপ ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে অনেকে গোলাপ চাষ করতে চান। তাদের জন্য রয়েছে আলু থেকে সহজে গোলাপ চাষের পদ্ধতি।

সূর্যমুখী শুধু একটি ফুলই নয়, এর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল মানুষ ভোজ্য তেল হিসেবে গ্রহণ করে। এবারের অ্যালবামে থাকছে সূর্যমুখী ফুলের ছবি। ছবি : মাহবুব আলম