ঐতিহ্যবাহী

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যাওয়ার রীতি অনেক পুরোনো। এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরেও ভাটা পড়েনি সেই রীতিতে। এরই অংশ হিসেবে আজ রাজধানীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় মানুষের ঢল নেমেছে। ছবি: বিপ্লব দীক্ষিৎ

টাঙ্গাইলে ঈদ আনন্দকে বাড়াতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: আব্দুল্লাহ আল নোমান

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ঐতিহ্যবাহী গোপিনাথপুর দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে জমে উঠেছে গোপীনাথপুরের মেলা। ছবি: আল মামুন

সম্প্রতি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ট্র্যাডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার খেতাব জিতেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

ঐতিহাসিকভাবে পুরান ঢাকার ইফতার বাজারের শিকড় বহু পুরনো। জানা যায়, এই জনপদে ইফতার কেনাবেচার সংস্কৃতি প্রায় চার শতাব্দী ধরে চলে আসছে। ছবি: বিপ্লব দীক্ষিৎ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্য ‘চ্যাপা শুঁটকি’। শত বছর ধরে এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে এ চ্যাপা। ছবি: এসকে রাসেল

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে বানানো দুই শতাধিক পিঠা নিয়ে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। ২৩টি স্টলে এসব পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: এসকে রাসেল

দিনাজপুর সদর উপজেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাপ দিয়ে পাতা খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিকতার ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া এই পাতা খেলা দেখে খুশি দর্শকরা। ছবি: এমদাদুল হক মিলন

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব বড়দিনে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী পাঁচ তারকা হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও জমকালো আয়োজন করা হয়েছে। ছবি: মাহবুব আলম

সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে মাদারীপুরের কালকিনির প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো জমিদার বাড়ি। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী

২৩ আগস্ট দিনাজপুরে অবস্থিত কান্তজিউ মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী ‘যুগল বিগ্রহ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

মাদারীপুরের রাজৈরের কদমবাড়ীতে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘কুম্ভমেলা’ বা কামনার মেলা। 

প্রতিবছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য মুখিয়ে থাকেন চলচ্চিত্র তারকা থেকে শুরু করে ফ্যাশনবোদ্ধারা। কানের লালগালিচা মানেই নজরকাড়া সব কতুর গাউন, ঐতিহ্যবাহী নকশার পোশাক আর চোখধাঁধানো সাজ–অলংকার। প্রতিবছরের মতো এবারও কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন বলিউড তারকারা।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা গ্রামের কাজী বাড়িতে সন্ধান মিলেছে এক ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘরের। শতবর্ষী কাচারি ঘরটি কালের বিবর্তনে জৌলুস হারালেও রয়েছে এর গৌরবময় ইতিহাস। আছে নানা লোক কাহিনী।

নড়াইলে সুলতান মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জীবনধারণের তাগিদে তৈরি হয় পেশার। আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেসব পেশার পরিবর্তন হয়। এমনকি বিজ্ঞান-প্রযুক্তির প্রসার ও সমাজব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে এক সময় তা বিলুপ্ত হয়ে যায়।

খেলারাম দাতা সম্পর্কে বহু লোককথার প্রচলন আছে সমাজে। কেউ বলেন তিনি ছিলেন জমিদার, আবার কেউ বলেন তিনি ভয়ানক দস্যু ছিলেন। তিনি দস্যু নাকি জমিদার ছিলেন তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও তিনি যে দানশীল ছিলেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই কারোর। তার নাম নিয়েও আছে মতভেদ। কেউ বলেন, তার নাম ছিল ‘খেলারাম দত্ত’। কেউ বলেন ‘খেলারাম দাদা’।

ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে অলোয়া জমিদার বাড়ি। প্রায় ১৮০০ শতকে জমিদার সচী নাথ রায় চৌধুরী বর্তমান টাঙ্গাইল সদরের পৌরসভা এলাকায় ১৩২ শতাংশ জমির উপর এই বাড়িটি স্থাপন করেন।

বিশ্বে ইতিহাস সাক্ষী এমন স্থানের জায়গা কম নয়। সেই তালিকায় পিছিয়ে নেই আমাদের দেশও। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী এসব স্থান আজো অপেক্ষায় ভ্রমণপ্রিয় মানুষের। তাই সুযোগ পেলেই দেখে আসতে পারেন খুলনা বিভাগের ঐতিহ্যবাহী কিছু জমিদার বাড়ি। বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর সুনিপুণ কারুকার্য দেখা যায় এই বাড়িগুলোতে।

একটা সময় দিন-রাত পালা করে কর্মব্যস্ততায় বিভোর থাকতো শরীয়তপুরের কাঁসা-পিতল শিল্পীরা। দূর থেকে কান পাতলে শোনা যেতো তাদের হাতুড়ির টুংটাং ধ্বনি। তবে দিন দিন কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন আধুনিক পণ্য বাজার দখল করায় ধ্বংসের মুখে শিল্পটি। 

রোববার পৌষ মাসের শেষ দিন ‘পৌষ সংক্রান্তি’। এই দিনে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন পালন করা হয়। এই উৎসবকে ঘিরে পুরান ঢাকায় অলিগলিতে জমে উঠেছে বাহারি ঘুড়ি ও নাটাই-সুতা বেচাকেনা। বইছে উৎসবের আমেজ। 

জয়পুরহাট সদর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে যমুনা নদীর তীরবর্তী বেল-আমলা গ্রামে অবস্থিত বারো শিবালয় মন্দির। প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের সাক্ষ্য বহন করে আজো দাঁড়িয়ে আছে এ মন্দিরটি।