ফল-চাষ

ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ করতেই পড়াশোনার পাশাপাশি সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ফারাদুজ্জামান ফাহিম। শিক্ষকের বাসার ছাদে মাল্টা চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে মাল্টা চাষ শুরু করেন তিনি। ছবি: মনির হোসেন মাহিন

বিদেশি ফল হলেও দ্রুতই আমাদের দেশে পরিচিতি লাভ করেছে ড্রাগন। এটি আসলে এক ধরনের ক্যাকটাস ভিত্তিক ফল। ড্রাগন ফল খনিজ, ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

ঝালকাঠির পেয়ারার সুখ্যাতি ছিল। এবার যোগ হলো আমড়ার নাম। জেলার ২ শতাধিক গ্রামে আমড়া গাছ লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সেখানকার চাষিরা। দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও যাচ্ছে ঝালকাঠির আমড়া, দাবি আমড়া চাষিদের।

পাহাড়ের সবুজ গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে বিদেশি ফল অ্যাভোকাডো। গাছের পাতা আর ফলের রং একই। পরিপক্ব ফল গাছ থেকে কয়েক দিনের মধ্যে সংগ্রহ করবেন বাগান মালিক। নির্জন পাহাড়ে বিদেশি এই ফল প্রথমবার দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকেই।

সারাদেশেই জনপ্রিয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম। এমনকি বিশ্ববাজারেও সুনাম কুড়িয়েছে বহুবার। তবে এ আম পাওয়া যেত শুধু মৌসুমেই। তবে কিছু ব্যতিক্রমী আম চাষির উদ্যোগে আমের মৌসুম শেষেও মিলছে জিআই সনদপ্রাপ্ত এ আম।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষকেরা। এতে দিন দিন চাষের পরিধি বাড়ছে। 

কম খরচে বেশি লাভ পাওয়ায় কলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চাষীরা।

শখের বশে গড়ে তোলা ড্রাগন ফলের বাগানেই সফল হয়েছেন মাদারীপুরের যুবক সজীব হোসাইন সাদ্দাম। 

লটকন চাষে সফলতার মুখ দেখছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ি এলাকা রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক শামছুল আলম। 

পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে মসলা জাতীয় ফসল আলুবোখারা।

শখের বশে সাভারের আশুলিয়ায় নিজ বাসার ছাদে দৃষ্টিনন্দন বাগান গড়ে তুলেছেন ফারজানা চৌধুরী নামের এক নারী।

শখের বশে বাড়ির ছাদে আঙুর বাগান গড়ে তুলেছেন সীতাকুণ্ডের এমাদ উদ্দিন চৌধুরী বিটু।

শখের বসে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার কৃষক মো. আব্দুর রব। আব্দুর রবের সাফল্য দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে ম-ম গন্ধ ছড়াচ্ছে কাঁঠাল। মৌসুমের শুরুতেই কাঁঠালে ঠাসা খাগড়াছড়ির বিভিন্ন হাট-বাজার। 

চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত ইটভাটায় ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ নামে একটি বাগান গড়ে তুলেছেন উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন।

প্রতিবছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলে ছেয়ে গেছে রাজশাহীর পাইকারি বাজারগুলো। বাজারে এখন আম, জাম, লিচু, কাঁঠালে ভরপুর।

পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির আঙিনায় প্রায় ২ শতাংশ জমিতে আঙুর চাষে সফল রাজবাড়ীর সরোয়ার হোসেন বাবু।

রাজশাহীতে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে বাড়ছে আম চাষ। এসব আম পাঠানো হচ্ছে বিদেশে। বিশেষ করে ইউরোপে পাঠানো হচ্ছে।

দিনাজপুরে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, কাঁঠালি, চায়না থ্রি জাতের লিচুর সঙ্গে নতুন করে চাষ হচ্ছে গোলাপি ও এলাচি জাতের লিচু। 

বাণিজ্যিকভাবে জাম চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন বরগুনার সদর উপজেলার কড়ইতলা গ্রামের কৃষক আহসান হাবিব। এ বছর জাম বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি।

লিচুর এই ভরা মৌসুমে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা জাতের রসালো লিচু। 

এ বছর পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রাজবাড়ীতে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে লিচুর চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। 

শখের বশে বারোমাসি লেবুচাষে সফল গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের সোহান। 

বাজারে উঠতে শুরু করেছে পাহাড়ের রসালো লিচু। এবার ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতিদিনই ঘাট ও বাজারে উঠছে লিচু। লিচুর আকার ও রঙের ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হচ্ছে দাম।

ফরিদপুরে পরীক্ষামূলকভাবে নানা জাতের আঙুর চাষ করে বাজিমাৎ করেছেন আহম্মেদ ফজলে রাব্বি নামে এক তরুণ।

দেশে চলমান তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টিতে এবার লিচুর আকার অপেক্ষাকৃত ছোট হয়েছে। এছাড়া ফেটে যাওয়াসহ পোড়া ক্ষত দেখা যাচ্ছে লিচুর গায়ে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে কদমি লিচুর বাগান বেশি। টক-মিষ্টি স্বাদের ‘কদমি’ লিচু পাকে সবার আগে। 

তীব্র এই তাপপ্রবাহের মধ্যেই পাকতে শুরু করেছে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ গ্রীষ্মের সব ফল।

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের পিঁপড়াগাছি গ্রামে বারি-১১ জাতের আম চাষে অবিশ্বাস্য সাফল্য পেয়েছেন নূর ইসলাম সদ্দার নামের এক নার্সারি শ্রমিক। তিনি ২৩ বছর ধরে নার্সারি কাজের সঙ্গে যুক্ত।

সুস্বাদু ফল সাম্মাম। এটি মূলত উচ্চ ফলনশীল ফল। দেখতে অনেকটা বেল কিংবা বাতাবি লেবুর মতো হলেও ভেতরে রসালো তরমুজের মতো। প্রথমবারের মতো নতুন জাতের এ ফল চাষে সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা তারিকুল ইসলাম তারেক। ছবি: মো. নাসিম উদ্দিন