ফিক্সড ব্যান্ডের বাধা কাটলো, বাড়বে ওয়াই-ফাইয়ের গতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৮ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাতীয় তরঙ্গ বরাদ্দ নীতিমালা থেকে সর্বোচ্চ ৬ গিগাহার্জ ব্যান্ড শেয়ারের বাধা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ ব্যান্ডের ৫৯২৫ থেকে ৬৪২৫ মেগাহার্জ তরঙ্গসীমাকে ওয়াই-ফাই বা আইওটি ও ওয়্যারলেস ল্যানসহ সেলুলার মোবাইল নেটওয়ার্কে ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করেছে কমিশন।

বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানার সই করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ চিঠিতে সই করা হলেও তা প্রকাশ করা হয়েছে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর)।

বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, এ ব্যান্ডের বাণিজ্যিকভিত্তিতে সেবা দিতে হলে তরঙ্গ বরাদ্দ, রেডিও যন্ত্রপাতি আমদানি ও ব্যবহারের আগে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

ব্যান্ড শেয়ারের সীমা তুলে দেওয়ায় সেবাদাতাদের সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা দূর হবে এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পর্যায়ে ল্যাটেন্সি কমবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির পরিচালক সোহেল রানা। তিনি বলেন, এতে করে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে পূর্ণ গতিতেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

কমিশনের এ অনুমোদনের ফলে এখন থেকে ইন্টারনেট সেবাদাতারা ওয়াই-ফাই রাউটার ব্যবহার করে তারহীন ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন বলে মনে করেন প্রযুক্তিবিদ ও ফাইবার অ্যাট হোমের সিটিও সুমন আহমেদ সাবির।

তিনি বলেন, তারা এতদিন ধরে ২.৪ ও ৫.৭ গিগাহার্জ ব্যান্ডে যে সেবা দিচ্ছিলেন, তা গ্রাহক চাহিদা সংকুলান করছিল না। কনজাটেড হচ্ছিল। এটি ফ্রি ব্যান্ডউইথ হওয়ায় তা ব্যবহার করা যাবে। ফলে ৬ গিগাহার্জ ব্যান্ড উন্মুক্ত করায় দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতিতে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। বাসার ওয়াই-ফাই স্পিড বাড়বে। পারফরম্যান্স ভালো হবে।

উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আইসিসি কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকও। তিনি বলেন, নদী তীরবর্তী, দুর্গম এলকা ও যেখানে এনটিটিএন নেটওয়ার্ক নেই, সেখানেও এ স্পেকট্রাম ব্যবহার করে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক পৌঁঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। তবে এটা লাইন অব সাইট সিস্টেমে চলে। তাই নেটওয়ার্কের পথে কোনো বাধা থাকা যাবে না।

সাইফুল ইসলাম বলেন, নন-লাইসেন্স ফ্রিকোয়েন্সি হিসেবে এ ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে পয়েন্ট টু পয়েন্ট, পয়েন্ট টু মাল্টি পয়েন্ট এবং ম্যাস নেটওয়ার্ক টপোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন নেটওয়ার্ক ডেপপ্লয়মেন্টের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারে। যেখানে এনটিটিএনের সুবিধা নেই, সেখানে ফ্রিক্সড ওয়ারলেস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের এটি কাজে লাগবে।

এএএইচ/জেএইচ/এমএমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।