গণঅভ্যুত্থানের মূল নায়ক জনগণ ও সাধারণ শিক্ষার্থী: নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫২ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিটিআরসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

জুলাই-আগস্টের যে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতন হয়েছে, তার মূল নায়ক দেশের জনগণ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমনটাই মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মূল নায়ক এ দেশের জনগণ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের ফলেই আমি বেঁচে আছি। সাধারণ মানুষরাই মূলত রাজপথে নেমে এসে আমাদের নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। আমি আজ সেই জনগণ এবং আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিটিআরসির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গণআন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সারাদেশের মানুষের মধ্যে ইতিবাচক আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। সবার মধ্যে একটি ধারণা জন্মেছে যে, আমরা এখন পারবো নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।

উপদেষ্টা বলেন, খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন আর পেছনে ফিরে না যাই। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি, তরুণ প্রজন্ম যে নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায় বা রাষ্ট্রব্যবস্থায় তারা যে পরিবর্তন চায়, তা অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। মানসিকতা পরিবর্তন করে সবাইকে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।

বিটিআরসি প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে আমরা একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় ছিলাম, যার হাত থেকে সমাজের কোনো স্তর বা অংশ রেহাই পায়নি। বিটিআরসিতে ১৬ বছর নানান সমস্যা ছিল, যা সমাধান হয়নি। অনেক দুর্নীতির অভিযোগও সামনে আসছে। বিটিআরসি নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। কারণ গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থা এ অবস্থার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সে জায়গা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো গড়ে ওঠেনি। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সিস্টেম ডেভেলপ হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো গড়ে উঠলে কোনো ব্যক্তি চাইলেও তার ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া সম্ভব হতো না। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতার চর্চা হয়েছে। এখানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ব্যক্তির ক্ষমতা প্রয়োগের চর্চা করা হয়েছে। এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক এ কাঠামোর নীতি এবং আইন যদি আমরা সংস্কার করতে না পারি, তাহলে আমূল পরিবর্তন বলতে আমরা যা বুঝি, তা কখনোই আসবে না।

ইন্টারনেট বন্ধ প্রসঙ্গে সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে গণহত্যা চালানো হয়েছে, গুম করা হয়েছে। যার সঠিক তথ্য আমরা এখনো পাচ্ছি না। আমাকেও গুম করা হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস- আজ আমি সেই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা। সেখানেই দাঁড়িয়ে কথাও বলছি।

এএএইচ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।