বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গভাবে সিম নিবন্ধন হয়নি
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ও ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি উপ-কমিটি নামের দুটি সংগঠন। তাদের দাবি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গভাবে সিম নিবন্ধন করা হয়নি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ তোলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ।
তিনি দাবি করেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গভাবে সিম নিবন্ধন করা হয়নি। মুঠোফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি হলেও সিম বা রিমের গ্রাহক ১৩ লক্ষ। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করতে পেরেছেন ৬০ শতাংশ গ্রাহক। বাকি ৪০ শতাংশ গ্রাহক এখনো নিবন্ধন করতে পারেননি। কারণ অনেক গ্রাহকের আঙ্গুলের বর্তমান ছাপের সঙ্গে দশ বছর আগের এনআইডি করার সময় দেয়া আঙুলের ছাপে মিল না থাকায় সিম নিবন্ধন করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
এছাড়া একজনের আঙুলের ছাপ দিয়ে অন্য অনিবন্ধিত সিম নিবন্ধন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে টাকা নেয়ার বিধান না থাকলেও আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি সিম নিবন্ধনে ২০-২৫ টাকা থেকে শুরু করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। যার ফলে প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ হাতিয়ে নিয়েছে রিটেইলাররা।
সংবাদ সম্মেলনে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানানোর পাশাপাশি সিম নিবন্ধন সঠিকভাবে হয়েছে কিনা তা যাচাই করার জন্য হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে পর্যালোচনা কমিটির গঠনের দাবিও জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক কাজী আমান উল্লাহ মাহফুজ প্রমুখ।
এএস/এসএইচএস/এবিএস