সিম নিবন্ধনের শেষ সময়ে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা


প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সিম নিবন্ধন পয়েন্টগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভীড়। পুনঃনিবন্ধন শেষ করতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা আর ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ সিম নিবন্ধন না করতে পেরে হতাশ মনে বাড়ি ফিরেন।

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সিম নিবন্ধন আসা অনেকে এনআইডি সার্ভার ডাউন হ্ওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

উত্তর বাড্ডার মা টেলিকমে সিম নিবন্ধন আসা আসমা আক্তার সাথী জানান, বিকেল ৪ টায় এসেছি, ৬টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখনো অনেক লোকের পেছনে পড়ে আছি, তাই চলে যাচ্ছি।

কেবল ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন স্থান ও পয়েন্টে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ার কথা জানিয়েছেন গ্রাহকরা।

এদিকে নির্ধারিত সময়ে অর্ধেকেরও বেশি সিম নিবন্ধন বাকি থাকায় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন বিটিআরসির কাছে আরো দুইমাস এবং বাংলালিংক আরো একমাস সময় চেয়েছে।

এই দুই অপারেটরের মতে, গ্রাহকরা এখন সিম নিবন্ধনে আগ্রহী কিন্তু খুব অল্প সময় বাকি আছে। তাই সরকার অথবা রেগুলেটরের সময় বাড়ানোর বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্বস্ত একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, হার্ডলাইনে থাকা সত্ত্বেও বেঁধে দেয়া শেষ কর্মদিবসে (৩০ এপ্রিল) সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সিম নিবন্ধনের সময়সীমা আরো একমাস বাড়াবে সরকার। আর সেদিন রাতেই বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিকমিনিউকেশন রেগুলেটরি কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে গ্রামীণফোনের ৩.৬০ কোটি, বাংলালিংকের ২.০৪ কোটি, রবির ১.২০ কোটি, এয়ারটেলের ৪০ লাখ, টেলিটকের ৮ লাখ এবং সিটিসেলের ৭৫ হাজার সিম পুনরায় নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

আরএম/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।