বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর ঘোষণা আসছে
সারাদেশের মোবাইল ব্যবহারকারীদের মাঝে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় বেশ সাড়া পেয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। তবে সরকারের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী হাতে রয়েছে আর মাত্র তিনদিন। শেষদিকে এসে সিম নিবন্ধনের জন্য রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টগুলোতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো।
এদিকে নির্ধারিত সময়ে অর্ধেকেরও বেশি সিম নিবন্ধন বাকি থাকায় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন বিটিআরসির কাছে আরো দুইমাস এবং বাংলালিংক আরো একমাস সময় চেয়েছে।
এই দুই অপারেটরের মতে, গ্রাহকরা এখন সিম নিবন্ধনে আগ্রহী কিন্তু খুব অল্প সময় বাকি আছে। তাই সরকার অথবা রেগুলেটরের সময় বাড়ানোর বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্বস্ত একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, হার্ডলাইনে থাকা সত্ত্বেও বেঁধে দেয়া শেষ কর্মদিবসে (৩০ এপ্রিল) সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সিম নিবন্ধনের সময়সীমা আরো একমাস বাড়াবে সরকার। আর সেদিন রাতেই বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছে, ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ন্যাশনাল ডেটাবেস ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচিং করে ৭.৩৩ কোটি সিম পুনরায় নিবন্ধন করা হয়েছে। যেখানে এখনো বাজারে ১৩.০৮ কোটি সচল সিম রয়েছে। এক কথায় বলা যায়, মোট সিমের অর্ধেক অংশ নিবন্ধিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিকমিনিউকেশন রেগুলেটরি কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে গ্রামীণফোনের ৩.৬০ কোটি, বাংলালিংকের ২.০৪ কোটি, রবির ১.২০ কোটি, এয়ারটেলের ৪০ লাখ, টেলিটকের ৮ লাখ এবং সিটিসেলের ৭৫ হাজার সিম পুনরায় নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
আরএম/এসএইচএস/পিআর