সহিসংসতা ও ভুয়া কনটেন্ট
১০ দিনে ৬৭ শতাংশ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক, ফেসবুক ১৩ শতাংশ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে অসংখ্য সহিংসতার ভিডিও ফেসবুক, টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে এ পরিস্থিতিতে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ভুয়া, গুজব,অপপ্রচার ও যৌন হয়রানিমূলক কনটেন্ট। সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর কাছে এসব ভিডিও অপসারণের অনুরোধ জানিয়েছিল।
সরকারের অনুরোধ রেখে সবচেয়ে বেশি ভিডিও সরিয়েছে টিকটক। তারা গত ১০ দিনে সহিংসতা, ভুয়া ও হয়রানিমূলক ৬৭ শতাংশ ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে। আর ইউটিউব সরিয়ে নিয়েছে ২০ শতাংশ ভিডিও। সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সবচেয়ে কম ভিডিও সরিয়েছে মেটা বা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে মাত্র ১৩ শতাংশ ভিডিও সরিয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিটিআরসিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা টিকটকের কাছে ৭ লাখ ভিডিও সরানোর অনুরোধ করেছিলাম। তারা অনুরোধ করা ৭ লাখ ভিডিওর মধ্যে ৬৭ শতাংশ কনটেন্ট রিমুভ করেছে। ফেসবুকের কাছে যে সংখ্যক ভিডিও টেকডাউনের অনুরোধ ছিল, তার মধ্যে তারা ২০ শতাংশ সরিয়েছেন।
ফেসবুকে যারা বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেক করেন, তারা বিশেষ মতাদর্শের উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এ কারণে গত ১০ দিনে তাদের প্ল্যাটফর্মে যে বৈষম্যমূলক কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে, তা সরানোর অনুরোধ করলেও তারা তেমন সাড়া দেননি। মাত্র ১৩ শতাংশ ভিডিও সরিয়েছেন। ফলে দেশে যে সহিংসতা হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেই দায় তারা এড়াতে পারেন না।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
এএএইচ/এসআইটি/জিকেএস