ওকলার ইনডেক্স
মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ১৯ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে এক লাফে ১৯ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের মে মাসে এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৯তম। সেখান থেকে জুনে ৯০তম অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।
একই সঙ্গে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির সূচকেও ৮ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। মে মাসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির সূচকে বাংলাদেশ ১০৮তম থাকলেও জুনে ৮ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছে ১০০তম অবস্থানে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটি সবশেষ জুন মাসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওকলার তথ্যানুযায়ী—সবশেষ জুন মাসে বাংলাদেশে সক্রিয় চারটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ইন্টারনেটে গড় ডাউনলোড স্পিড ছিল ২৪ দশমিক ৪৯ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ছিল ১১ দশমিক ০৭ এমবিপিএস। এ সময়ে দেশে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ২৬ মিলিসেকেন্ড।
ওকলার তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সূচকে এগোতে শুরু করে মোবাইল ইন্টারনেট। মার্চে ১১২তম অবস্থানে থাকার পর এপ্রিলে কিছুটা এগিয়ে ১১০তম অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ। এরপর মে মাসে ১০৯তম এবং সবশেষ জুনে এক লাফে ৯০তম অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।
এদিকে, একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৭ দশমিক ৪৩ এমবিপিএস। আর আপলোড গতি ছিল ৪৬ দশমিক ৪১ এমবিপিএস। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ৫ মিলিসেকেন্ড।
অন্যদিকে গত ছয়মাসে মোবাইল ইন্টারনেটের তুলনায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা স্থিতিশীল দেখা গেছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির সূচকে এপ্রিলে ১০৬তম অবস্থান থেকে মে মাসে দুই ধাপ পিছিয়ে ১০৮তম অবস্থানে নেমে যায় বাংলাদেশ। এরপর এক লাফে ১০০তম অবস্থানে উঠে এসেছে।
ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি আরও বাড়িয়ে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক।
তিনি বলেন, গতি বাড়াতে এবং র্যাংকিংয়ের উন্নতির জন্য ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। শহরভিত্তিক ব্যান্ডউইথগুলো থেকে আমরা গ্রাহকের চাহিদামতো এমবিপিএস গতি দিতে পারছি। কেউ যদি ১০ এমবিপিএসের জয়গায় ২০ এমবিপিএসও চান, তবুও দেওয়া সম্ভব। সামান্য দাম বাড়িয়ে এটা দেওয়া সম্ভব হয়।
ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে বিটিআরসি সব সময় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক। তিনি বলেন, ওকলার ইনডেক্স আমরা দেখে থাকি। সেখানে অনেক বিষয় বা ইনডিকেটর থাকে। সম্প্রতি যে ইনডেক্স, সেটা খেয়াল করা হয়নি।
এএএইচ/এমআরএম/এমএস