‘২০২৫ সালে দেশে ক্লাউড পরিষেবার মার্কেট হবে ৪৬.৩ মিলিয়ন ডলার’
২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ক্লাউড পরিষেবার মার্কেট ৪৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাটাহাব এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরোয়ার মোর্শেদ পরাগ।
তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান ক্লাউড চাহিদা মেটাতে ডাটাহাব এশিয়া আর্ন্তজাতিক সব মানদণ্ড মেনে গ্রাহকসেবা দিতে প্রস্তুত। যেখানে কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী ডাটা স্টোরেজসহ অন্যান্য সব সুবিধা দিতেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে ‘পারপাস বিল্ট ডাটা সেন্টার, ডেসটিনেশন অব চয়েজ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ডাটাহাব এশিয়া ও বাংলামেঘ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সরোয়ার মোর্শেদ পরাগ বলেন, দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য দেশীয় ডাটা সেন্টারে জাতীয় তথ্য নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি, যা দেশের তথ্য দেশের সীমানাতেই দেশীয় ডাটা সেন্টারে সুরক্ষিত করা সম্ভব। এ লক্ষ্য মাথায় রেখে ডাটাহাব এশিয়া ঠাকুরগাঁও শহরে বাংলাদেশের তথ্য নিরাপত্তার জন্য একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং স্বল্প সময়েই একটি অত্যাধুনিক ডাটা সেন্টার তৈরি করে।
তিনি বলেন, একজন ব্যক্তিকে সাতটি নিরাপত্তা বলয় পার হয়ে সার্ভারের কাছে পৌঁছাতে হয়। ভবনটিতে অত্যাধুনিক ধোয়া ও অগ্নিশনাক্তকরণ, অগ্নিনির্বাপক ও নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ও ব্যবস্থাপনা সংযুক্ত আছে, যা দ্রুততম সময় যেকোনো সম্ভাব্য অগ্নিঝুঁকি থেকে ভবনটিকে রক্ষা করবে। এসব নিরাপত্তা নিশ্চিত সাপেক্ষে ডাটাহাব এশিয়া আইএসও:৯০০১ ও আইএসও:২২২৩৭ অ্যাভেলঅ্যাবিলিটি ক্লাস ৩ অ্যান্ড প্রটেকশন ক্লাস ৪ সার্টিফিকেট অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন>> উন্নত নিরাপদ টেকসই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের সমাজ: পলক
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডান অ্যান্ড ব্রডস্ট্রেট অ্যানালাইসিস লিমিটেডের সিইও জারা মাহবুব বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। পুরো দেশ এখন ডিজিটালি কানেকটেড। এ কানেকটিভিটিতে প্রচুর পরিমাণ ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার যুক্ত হয়েছে। ফলে প্রচুর পরিমাণ ডাটা তৈরি হচ্ছে। এসব ডাটার যেমন যথোপযুক্ত সংরক্ষণ প্রয়োজন, তেমনি নিরাপত্তাও জরুরি। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে দেশীয় ডাটা সেন্টার এবং ক্লাউড সার্ভিসের গুরুত্ব অপরিসীম।
সেমিনারে বাংলামেঘ-এর চেয়ারম্যান শায়েরুল হক জোয়ারদার ক্লাউড সেবার বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ক্লাউড সেবার রেভিনিউ দাঁড়ায় ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। দেশে ডিজিটাল কানেকটিভিটি বাড়ায় দ্রুত ক্লাউড সেবার বাজারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন জায়ান্ট কোম্পানি দেশের ক্লাউড বাজারে প্রচুর বিনিয়োগ নিয়ে আসছে। যেখানে দেশের ক্লাইড সেবা ব্যবহার করলে একদিকে যেমন ডলার বাঁচবে, অন্যদিকে ডাটার নিরাপত্তা বা রেগুলেশনও ঠিক থাকবে।
সেমিনারে ডাটাহাব এশিয়া, বাংলামেঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ, ভারত নেপালসহ বিভিন্ন দেশের আইটি, সাইবার সিকিউরিটি এবং ক্লাউড সেবা প্রদানকারী খাত বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
এএএইচ/ইএ/জেআইএম