৯ মাসে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ১১৮৪৫ কোটি টাকা
চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ১১ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে গ্রামীণফোন। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। তৃতীয় প্রান্তিকে ৭ দশমিক ৬১ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এতে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২০ লাখে। মোট গ্রাহকের মধ্যে ৪ কোটি ৭৫ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করেন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) অপারেটরটি চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে। আর্থিক বিবরণীর সার-সংক্ষেপ গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তা থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিবরণী নিয়ে গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার বলেন, তৃতীয় প্রান্তিকে বছরপ্রতি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইবিআইটিডিএ (নেট ইনকাম, ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন, অ্যামোর্টাইজেশন) প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতিসহ সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ শক্তিশালী ইবিআইটিডিএ মার্জিন বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। ডাটা রাজস্বে ধারাবাহিক দুই সংখ্যার প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জনে মূল ভূমিকা রেখেছে। ১৮ দশমিক ২ শতাংশ মার্জিন নিয়ে তৃতীয় প্রান্তিকে কর পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৪৭ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, মূলত ফোরজি নেটওয়ার্ক কাভারেজ বিস্তৃত করা ও ২৬০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করে এ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ২৭৮ দশমিক ৩ কোটি মূলধনী ব্যয় (ক্যাপেক্স) বিনিয়োগ করেছে (লাইসেন্স, লিজ ও এআরও ব্যতীত)। গত ১২ মাসে ১ হাজার ৯০০ প্লাস নতুন ফোরজি সাইট ও ১ হাজার ৭০০ প্লাস নতুন কাভারেজ সাইট চালু করা হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকের শেষে ফোরজি সাইটের সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ২১০০০-এ, যার মাধ্যমে ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষকে ফোরজি কাভারেজের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে গ্রামীণফোন কর, ভ্যাট, ডিউটি, লাইসেন্স ও তরঙ্গ বরাদ্দ ফি প্রভৃতি বাবদ ৯ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মোট রাজস্বের ৮০ শতাংশ।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান মনে করেন সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও ডাটা সেগমেন্টসহ রাজস্ব ও ইবিআইটিডিএ উভয় ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, সহজ ডাটা পোর্টফোলিও, পারসোনালাইজড অফার ও অত্যাধুনিক ডিজিটাল সক্ষমতার মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের নানা ধরনের চাহিদা পূরণে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বারোপ করেছি, যে কারণে আমাদের গ্রাহকদের ডাটা ব্যবহার বেড়েছে।
ইয়াসির আজমান আরও বলেন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগে আমাদের প্রচেষ্টা, গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্ক হিসেবে আমাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। গ্রাহকরা আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের কেন্দ্রে রয়েছেন। পাশাপাশি আমাদের কার্যক্রমে স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি।
এএএইচ/এমএএইচ/