চাঁদ-মঙ্গলে পরীক্ষা চালাবে ওদের বানানো ৩০ রোবট
মহাকাশ গবেষণায় রোবটের ভূমিকা অপরিহার্য। মহাকাশ নিয়ে প্রতিটি গবেষণায় জড়িয়ে আছে রোবটিকসের কার্যক্রম। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে শুরু করে চাঁদে অভিযান এবং মঙ্গল মিশনের সব জায়গায় কাজে লাগানো হচ্ছে রোবট।
ভবিষ্যতে এ রোবটিকসের ব্যবহার আরও বাড়বে। কেননা রোবটিকসের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত ও প্রকৌশলের বিভিন্ন অংশ।
এ অবস্থায় রোবট বানানোর দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশও। নানা প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ‘স্পেস রোবটিকস ক্যাম্প’।
শুক্র ও শনিবার (২৯-৩০ সেপ্টেম্বর) আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) ক্যাম্পাসে বসে এ ক্যাম্প। বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম ও স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনে সারাদেশ থেকে ৪-১৬ বছর বয়সী ২০০ ছাত্রছাত্রী অংশ নেয়। ৩০টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা স্পেস থিমের ওপর প্রায় ৩০টি রোবট তৈরি করে।
আয়োজকরা জানান, শিক্ষার্থীদের বানানো রোবটগুলো স্পেস গবেষণার কাজে ব্যবহার করা যাবে। বিশেষ করে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালাতে পারবে কিছু রোবট। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্পেস জাঙ্ক কালেক্টর, কার্বন মনো-অক্সাইড ডিটেক্টর, অক্সিজেন ডিটেক্টর ও মিথেন ডিটেক্টর।
এএএইচ/এসআর