নেটওয়ার্ক বিপর্যয়: গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চাইলো বিটিআরসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেশব্যাপী প্রায় দুই ঘণ্টা নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের পর প্রতিষ্ঠানটির কাছে চিঠি দেয় বিটিআরসি। গ্রামীণফোনের সিইওকে এই চিঠি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক হঠাৎ উধাও 

চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় জরুরি অবস্থা বিবেচনায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের সঠিক কারণ ব্যাখ্যাসহ অতি দ্রুত জানাতে হবে। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে দেশব্যাপী গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয় চিঠিতে।

বিটিআরসির পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগ) মো. গোলাম রাজ্জাক সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, গ্রাহকের কাছ থেকে পাওয়া অসংখ্য অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায় যে দেশব্যাপী মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রাহক সংখ্যা বিবেচনায় দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা মোবাইল নেটওয়ার্ক পেতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: যে কারণে নেটওয়ার্কের বাইরে গ্রামীণফোন 

এ অবস্থায় জাতীয় জরুরি অবস্থা বিবেচনায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের সঠিক কারণ ব্যাখ্যাসহ অতি দ্রুত জানাতে বলা হয়। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে দেশব্যাপী গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।

এদিকে, সেবা বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিক থেকে নেটওয়ার্ক ফিরতে শুরু করেছে মোবাইল ফোন অপারেটরটির। ২টার পর থেকে গ্রাহকরা কল করতে পারছেন, ইন্টারনেটও ব্যবহার করতে পারছেন।

নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে নেওয়ার্ক পুরোপুরি সচল হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: নেটওয়ার্ক ফিরতে শুরু করেছে গ্রামীণফোনের 

গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার বলেন, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে রাস্তায় খননকাজ চলাকালীন অনিচ্ছাকৃত ফাইবার অপটিক ক্যাবল কেটে যাওয়ার ফলে আমাদের কিছু সংখ্যক গ্রাহক সংযোগ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং সব সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে চালু থাকা ১৮ কোটি ৮ লাখ মোবাইল ফোনের সিমের মধ্যে ৭ কোটি ৯৩ লাখই গ্রামীণফোনের। অর্থাৎ, দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ৪২ শতাংশই গ্রামীণফোন ব্যবহার করেন। যাদের একটি বড় অংশ নেটওয়ার্ক না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন।

এইচএস/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।