চোখের ক্ষতি এড়াতে স্মার্টফোন যেভাবে ব্যবহার করবেন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সারাক্ষণ স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে থাকছেন সবাই। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করছেন তো আবার গেম খেলা কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সময় কাটানো। একের পর এক কাজে ব্যবহার করছেন স্মার্টফোন। তবে সারাক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করে চোখের ক্ষতি করছেন সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।

তবে কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখলে স্মার্টফোনের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে চোখকে বাঁচাতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্মার্টফোন ব্যবহারে কী কী ব্যবহার করবেন-

স্ক্রিন ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করুন
খুব বেশি বা খুব কম ব্রাইটনেস এবং কনট্রাস্টই কিন্তু ক্ষতিকর চোখের জন্য। তাই মোবাইলের সেটিংসে ঢুকে সবার আগে সেই ফিচার্সটি অ্যাডজাস্ট করুন। আর বারবার তা করতে অনিহা লাগলে, আপনি অ্যাডপ্টিভ ব্রাইটনেস সেটিংসটিও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার আশপাশে আলোর পরিমাণ বুঝে এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোবাইলের ব্রাইটনেস পাল্টে যাবে আপনাআপনিই।

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন দিয়ে ডিএসএলআরের মতো ছবি তোলার কৌশল 

ডার্ক মোড ব্যবহার করুন
মোবাইলের উজ্জ্বল আলো বহু ক্ষেত্রেই চোখের সমস্যা ডেকে আনে। বিশেষ করে অন্ধকারে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের ডার্ক মোড ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজ্ঞরা। মোবাইলের সেটিংসে গিয়ে ডার্ক মোড অন করে দিন।এতে চোখে চাপ অনেক কম পড়বে।

মোবাইলের স্ক্রিন পরিষ্কার রাখুন
মোবাইলভর্তি একগুচ্ছ অ্যাপ। আর সেসব হোমস্ক্রিন জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বহু সময়েই। সেগুলোকে গুছিয়ে রাখুন হোম স্ক্রিনে। এর সঙ্গে কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যও কিছুটা জড়িত। পাশাপাশি মোবাইলের বাইরের স্ক্রিনটিও পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন। তাতে চোখে কম স্ট্রেন পড়ে। একটি পরিষ্কার, নরম কাপড় দিয়ে স্ক্রিন পরিষ্কার করুন নিয়মিত।

ফোনের টেক্সট বড় করুন
ফোনের ছোট্ট স্ক্রিন, সেখানে খুদে খুদে হরফ কিন্তু বেশ চাপ ফেলে চোখের উপরে। ফলে চেষ্টা করুন আকারে সামান্য বড় টেক্সট ব্যবহার করতে। ফোনের সেটিংসে গিয়ে ডিসপ্লে অপশনে গিয়ে টেক্সট সাইজ সুবিধা মতোন বাড়িয়ে নিন। এতে মেসেজ পড়তে বা মোবাইলের অন্য কাজেও বেশ সুবিধা হবে।

সূত্র: ক্র্যাফ আই ইনস্টিটিউট

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।