ডিজিটাল তথ্যসেবা বিনিময়ে ই-সার্ভিস বাস চালু হচ্ছে : পলক


প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সরকারি সেবা, তথ্য, ডাটা আদান-প্রদান ও বিনিময় সহজ করার জন্য ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস চালু করতে যাচ্ছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শুক্রবার জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে একে অপরের তথ্য, ডাটা ও সেবা অনলাইনে পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস তা দূর করবে। এ বাস মিডলওয়্যার প্লাটফরম হিসেবে কাজ করবে। চালু হওয়ার পর সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অনলাইনভিত্তিক তথ্য, ডাটা ও সেবাসমূহ এসে যুক্ত হবে ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে। আর এসব অনলাইনভিত্তিক তথ্য, সেবা ও ডাটা আদান-প্রদান ও বিনিময়ের কাজ মসৃণ করবে এবং তা সেবা গ্রহীতার কাছে সহজে প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে এ বাস।

পলক বলেন, ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস চালু হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সফটওয়্যারচালিত তথ্য, ডাটা ও ই-সেবা তৈরিতে ডুপ্লিকেশন হ্রাস পাবে এবং ব্যয় সাশ্রয় হবে। যেমন বর্তমানে সরকারি কোনো একটি প্রতিষ্ঠান যদি নাগরিক তথ্যের ডাটাবেস তৈরি করে এবং তা যদি ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে যুক্ত থাকে তাহলে অন্য প্রতিষ্ঠানের সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করে একই ডাটাবেস পুনরায় তৈরির প্রয়োজন হবে না। কারণ ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস যেকোনো সেবা গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা নাগরিক তথ্যের ডাটাবেস প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।  

সংশ্লিষ্ট সূত্র জাগো নিউজকে জানায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসটি) প্রকল্প বাংলাদেশ ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার (বিএনইএ) ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় এ ই-সার্ভিস বাস চালু করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক  প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং (ইওয়াই) বিগত এক বছর ধরে বিএনইএ ও ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসের কারিগরি উন্নয়নের কাজ করছে।

সূত্র আরো জানায়, ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে যুক্ত হওয়ার আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য, সেবা ও ডাটা তৈরিতে বিএনইএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নির্ধারিত মান, গাইডলাইন ও স্পেশিফিকেশন অনুসরণ করে সফটওয়্যার তৈরি করতে হবে। যাতে তা ইন্টাঅপারেবল (আন্তঃপরিবাহী) বা বিনিময়যোগ্য হয়।

বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস অচিরেই চালু করা সম্ভব হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সফটওয়্যারভিত্তিক তথ্য, সেবা ও ডাটা তৈরির জন্য বিএনইএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নির্ধারিত মান, গাইডলাইন ও স্পেশিফিকেশন প্রণয়নের কাজে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। এসব অনুসরণ করে স্ব স্ব সরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য, সেবা ও ডাটা প্রদানের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করলে তা যুক্ত করা হবে ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে সক্ষমতা তৈরির জন্য বিসিসিতে ডব্লিউএসওটু (WSO2 ) এর ওপর প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছি। যাতে তথ্য, সেবা ও ডাটা আদান-প্রদান ও বিনিময়ের কাজটি সহজ হয়।

এলআইসিটি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস চালুর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার (এনইএ) পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য, সেবা ও ডাটার সফটওয়্যার তৈরিতে বিএনইএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নির্ধারিত যে মান, গাইডলাইন, স্পেশিফিকেশন ও রোডম্যাপ অনুসরণ করবে তা থাকছে এ এনইএ পোর্টালে।

একে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।