মোবাইল ফোনের গ্রাহক কমেছে সাড়ে ১৭ লাখ


প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত এক মাসে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা কমেছে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার। এরমধ্যে গ্রাহক সংখ্যায় সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটেছে রবির। এক মাসে মুঠোফোন সেবাদাতা এ প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক কমেছে ৫ লাখ ২২ হাজার।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকাশিত ২০১৫ সালের ডিসেম্বর ও ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনামূলক গ্রাহকচিত্রে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গ্রাহক সংখ্যা বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে টেলিকমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমকেই দায়ী করছেন।  
 
বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক মাসে দেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা কমলেও রাষ্ট্রায়ত্ত মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।  

বিটিআরসি বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ নাগাদ বাংলাদেশে মোট মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার; আগের বছরের ডিসেম্বরে যে সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার; এ বছরের জানুয়ারির শেষে যে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৬২ লাখ ৪ হাজারে।

একই সময়ে বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৫ হাজার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৬৮ হাজারে।

রবির গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৯৫ হাজারে। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হতে যাওয়া এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা এক কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার থেকে কমে এসেছে ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজারে।

দেশের একমাত্র সিডিএমএ অপারেটর সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৭ হাজার ৮৬৭তে।

তবে একই সময়ে ৪১ লাখ ৪৩ হাজার থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ লাখ ১১ হাজারে।

উল্লেখ্য, গতবছরের ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের নামে একটি সিমের নিবন্ধনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ১ নভেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করে। পরীক্ষামূলকভাবে নিবন্ধন শুরুর পর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যের সঙ্গে সিমকার্ডের গ্রাহকের তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অপারেটর এবং গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল। বলা হচ্ছে, যেসব সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন হবে না চলতি বছরের এপ্রিলের পর তা আর সচল থাকবে না।    

আরএম/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।