কর্মী ছাঁটাই করবে মাইক্রোসফট
চলতি সপ্তাহেই কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিতে পারে মার্কিন শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানি মাইক্রোসফট। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটির কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে মাইক্রোসফটের অধিগ্রহণকৃত নকিয়ার কর্মচারীদের ওপর। এর আগে ২০০৯ সালে ৫ হাজার ৮০০ কর্মী ছাঁটাই করেছিল মাইক্রোসফট। খবর রয়টার্স
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২২ জুলাই প্রান্তিকভিত্তিক আয়-ব্যয়ের তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিতে পারেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা। আগামী বছর মাইক্রোসফটের ব্যবসা পরিকল্পনা নিয়েও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন তিনি। তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রযুক্তি বিষয়ক সাইটগুলোয় মাইক্রোসফটের কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী, প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও ডেভেলপারদের এক বিবৃতির মাধ্যমে অবহিত করেন, শিগগিরই বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে মাইক্রোসফটে। আর এ ঘটনার পর থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, পরিচালন ব্যয় কমাতে শিগগিরই কর্মী ছাঁটাই করবে প্রতিষ্ঠানটি।
অধিগ্রহণকৃত নকিয়ার মোবাইল বিভাগের মোট ২৫ হাজার কর্মীসহ মাইক্রোসফটের বর্তমান মোট কর্মীসংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার। এ সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও গুগলের তুলনায় ঢের বেশি বলে উল্লেখ করা হয় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে। মূলত এ কারণেই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি বলেও নিশ্চিত করা হয় জার্নালের প্রতিবেদনে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটির বিপণন বিভাগ থেকে বেশকিছু কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে। এর মধ্যে অধিকাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে এক্সবক্স ওয়ান টিমের বৈশ্বিক বিপণন বিভাগ থেকে। এছাড়া সফটওয়্যার পরীক্ষণ বিভাগ থেকেও বেশকিছু কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে। তবে অধিগ্রহণকৃত নকিয়ার মোবাইল বিভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে পরিচালন ব্যয় কমাতে ও ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর প্রভাবে একদিকে যেমন বেকারত্ব বাড়ছে, অন্য দিকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কর্মী ছাঁটাইয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তবে এ ঘটনা আদৌ সত্যি কিনা, সে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য চলতি মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের।