সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন চোরাই কি না বুঝবেন যেভাবে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ২৮ জুন ২০২২

অনেকেই আছেন যাদের শখ নতুন মডেলের ফোন ব্যবহার করা। একারণে কিছু দিন পর পর অনেকেই ফোন বদলে ফেলেন। এদিকে যেহেতু নতুন ফোনের দাম অনেকটাই বেশি সেকারণে অনেকেই সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনেন।

পুরোনো ফোনের দাম তুলনায় অনেকটাই কম। তবে এতে বিপদের আশঙ্কাও অনেক বেশি। যদি সেটা হয় চোরাই ফোন তাহলে অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে পরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকেই ব্যবহৃত ফোন কিনতে পারেন। যদি কোনো দোকান বা অপরিচিত ব্যক্তি থেকে পুরনো স্মার্টফোন কিনতে চান তাহলে আগেই পরোখ করে নিন সেটি চোরাই কি না।

আপনি না জেনে চোরাই ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন। কারণ যে ব্যক্তির ফোন চুরি করা হয়েছে তিনি নিশ্চয় থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন। এরপর তদন্তের পর আপনি অভিযুক্ত হতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে অনেক সমস্যা।

এদিকে পুলিশের ঝামেলা এড়াতে চোরাই কারবারিরা অনেক ক্ষেত্রে ফোনের IMEI নম্বর পালটে দেয়। ফলে পুলিশের ট্র্যাক করতে সমস্যা হয়। এজন্য একাধিক সফটওয়ারের সাহায্য নেয় চোরাই কারবারিরা। তাই কোনো পুরোনো ফোন কেনার আগে অবশ্যই দেখা দরকার আপনার ফোনটি চোরাই কি না।

এজন্য ফোন কেনার আগে সেটির আইএমইআই (IMEI) নম্বর যাচাই করে নিন। আইএমইআই নম্বরে যদি এমন কিছু তথ্য থাকে যা স্মার্টফোন মডেলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি যে পুরোনো ফোন কিনছেন সেই ফোনটি চোরাই।

জেনে নিন কীভাবে ফোনের আইএমইআই (IMEI) নম্বর যাচাই করবেন-
> আইএমইআই নম্বর পরীক্ষা করতে WWW.imei.info-তে লগইন করুন।
> আপনি যে পুরোনো ফোনটি কিনতে চাইছেন সেই ফোনের আইএমইআই নম্বরটি সেখানে দিন এবং সার্চ করুন।
> সঙ্গে সঙ্গে ফোনের বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এর মধ্যে থাকবে ফোনের মডেল, তৈরির দিন এবং ফোন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।

যদি কোনো কারণে সেখানে কোনো তথ্য না দেখা যায় অথবা যদি এমন কোনো তথ্য দেখা যায় যা আপনার ফোনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় তাহলে বুঝতে হবে ফোনটি চোরাই।

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।