ফেসবুক গেমে বন্ধুতা বাড়বে


প্রকাশিত: ০২:১৭ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৪

ফেসবুকে গেম খেললে আপনার পারিবারিক বন্ধন আরও মজবুত হতে পারে। এমনকী বয়সের বাঁধ ভেঙে সামাজিক নেটওয়ার্ক খেলা বা এসএনজি (সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গেম) ঠাকুরদার সঙ্গে নাতির বন্ধুত্ব তৈরি করতে পারে। বিশ্বের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তের মানুষের মধ্যে ঘটিয়ে দিতে পারে মেলবন্ধন। সম্প্রতি একটি গবেষণা এমনই বলছে।

‘কমিউনিকেশন অ্যান্ড সোসাইটি’ নামক একটি পত্রিকায় এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। মণ্ট্রিলের কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেম স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাইন কানাডা রিসার্চ চেয়ারের সিনিয়র অথার মিয়া কনসালভো জানান, যে পরিবারের সদস্যরা দেশ-দেশান্তরে থাকেন তাঁদের মধ্যে মেল-বন্ধনে এই রকম খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ এর জন্য কনসালভো ও তাঁর এক সহকর্মী মিলে একটি বিশেষ গ্রুপও তৈরি করেছেন।
সাধারণত দেখা যায়, ফেসবুকে খেলা বা গেমের অনুরোধ এলে চট করে বিরক্ত হন বেশিরভাগ মানুষ।  ঘোষণা করে জানিয়ে দেন যেন কেউ এই রকম অনুরোধ না পাঠান।

এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, বিরক্তি এড়িয়ে যদি একবার গেমে ঢোকা যায় তা হলেই খুলে যাবে সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের স্বর্গদ্বার। অনেক সময় খেলার নাম আধুনিক হয়েছে। ধরন কোথাও কোথাও এক থেকে গিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বোর্ড গেম ‘ক্লু’ বদলে গিয়ে যেমন এসেছে ‘ক্যান্ডি ক্রাশড সাগা’, ‘পেট রেসকিউ সাগা’, তেমন প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা দাবা। ধরা যাক, ও পাশে অন-লাইনে আপনার কোনও বন্ধু একটা খেলার অনুরোধ পাঠিয়েছেন। আপনিও যদি আগ্রহী থাকেন খেলতে তাহলেই খেলা শুরু হবে। এভাবে হারিয়ে যাওয়া কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গেও মেল-বন্ধন ঘটতে পারে বলে দাবি এই গবেষণার।

এমনকী, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গেমগুলি সামাজিক বন্ধনে একটি সেতু হয়ে উঠেছে। এই গেমগুলির ডিজাইনারদেরও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গেমগুলিকে উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ফেসবুক আজকের সমাজে সামাজিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে একটি বড় মাধ্যম তা অজানা নয়। কিন্তু ফেসবুকের গেমও যে শুধু জনপ্রিয় নয়, সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এই গবেষণায় তাই প্রমাণিত হয়৷।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।