বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর জীবন্ত রোবট উদ্ভাবন


প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৬

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের এক বিজ্ঞানীর দারুণ সাফল্যের খবর। ড. তাহের এ সাইফের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী ‘জীবন্ত রোবট` উদ্ভাবন করেছেন। এখন ‘রোবট বিপ্লব` ঘটানোর দ্বারপ্রান্তে। সেটা সফল হলে ক্যানসার জয় করা সম্ভব হবে।

নিউইয়র্ক টাইমস-এর ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সংখ্যায় পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী এক কলামনিস্ট লিখেছেন, ২০১৬ সালে প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটাতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গবেষণা। গবেষক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশের ড. তাহের এ সাইফ। তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ইতিমধ্যে ‘জীবন্ত রোবট` উদ্ভাবনের স্বপ্নপূরণ করেছেন।

আণুবীক্ষণিক এই রোবট মানুষের রক্তনালিতে সাঁতার কাটতে পারে। ড. তাহের এ সাইফ ও তার ছাত্ররা হৃৎপিণ্ডের কোষ থেকেই তৈরি করেছেন বায়োরোবট বা ‘জীবন্ত রোবট`। এখন চলছে স্টেমসেল থেকে নেয়া নিউরন আর পেশিকোষের সমন্বয়ে জৈব রোবট তৈরির চেষ্টা। চলমান গবেষণা সফল হলে নিউরনগুলো কখন, কোথায় যাওয়া দরকার তা নিজে নিজেই ঠিক করতে পারবে। ফলে নিউরনের নির্দেশে রোবট ক্যানসার সেলে যেতে পারবে, সেখানে গিয়ে প্রতিষেধক উৎপাদনকারী কিছু কোষ ক্যানসার সেল ধ্বংস করার উপাদান নিঃসরণ করবে।

বাইরে থেকে কোনো ওষুধের প্রয়োগ ছাড়াই ক্যানসারকে জয় করার স্বপ্ন-রথের সারথী হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের সাবেক কৃতী শিক্ষার্থী তাহের এ সাইফ। বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানীর সাফল্যে আনন্দের ফোয়ারা বইছে অনেকের মনে। খবরটি সোৎসাহে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা।

অধ্যাপক তাহের এ সাইফ ও তার সুযোগ্য ছাত্রদের বায়োরোবট উদ্ভাবন এবং আরো বড় অর্জনের দিকে অগ্রসর হওয়ার খবরে সাংবাদিক ও লেখক আনিসুল হক গর্বিত।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও যে গর্বিত, আনন্দিত তা বোঝা গেছে তার টুইট দেখে। তাহের এ সাইফ সফল হলে শুধু নির্দিষ্ট কোনো দেশ, জাতি, ধর্ম বা গোত্রের নয়, সারা মানব জাতিরই কল্যাণ হবে। সবার গর্বিত হওয়া, আনন্দে উদ্বেল হওয়াই তো স্বাভাবিক।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।