এ বছর গুগলে যা যা খুঁজেছে সবাই

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২১

২০২০ সালটা মহামারি করোনার আবহে কেটেছে সবার। সেই তুলনায় বলা যায় ২০২১ কিছুটা স্বস্তিতেই কাটিয়েছে বিশ্ববাসী। তবে মহামারির প্রকোপ ছিলো নিত্যসঙ্গী। ঘরবন্দিও থাকতে হয়েছে বছরের বেশ খানিকটা সময়। এই সময়টাতে সবাই ইন্টারনেটে বুঁদ হয়ে থেকেছেন সারাদিন। অন্যান্য সময়ের তুলনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছিলেন সরব।

যা কিছু জানার সব কিছুই খুঁজেছেন ইন্টারনেটে। জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে এক্ষেত্রে সাহায্য করেছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল। যখন যা কিছু প্রয়োজন পড়েছে সবকিছুরই সমাধান খুঁজেছেন গুগলে।

এ বছর করোনা নিয়ে বিশ্বের অবস্থা জেরবার। এ জন্য মানুষ সব থেকে বেশি গুগলে খুঁজেছে, বাড়ির কাছাকাছি কোথায় অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যায়। পাশাপাশি সার্চ করেছে, করোনা হাসপাতাল বাড়ির কাছাকাছি কোথায় আছে। এ ছাড়াও খোঁজা হয়েছে কাছাকাছি কোথায় কোথায় সিটি স্ক্যান ও এক্স-রে করা যায়।

বিভিন্ন সেবার তথ্যর পাশাপাশি মানুষ সবচেয়ে বেশি সার্চ করেছে, বাড়ির কাছাকাছি কোথায় আছে রেস্তোরাঁ আছে। এ ছাড়াও আরও যেসব বিষয় সবচেয়ে বেশিবার খুঁজেছেন মানুষ তার তালিকা দেখলে অবাক হবেন বৈকি! চলুন দেখে নেওয়া যাক সেরকম কিছু বিষয়-

করোনা পরীক্ষা
২০২০ থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববাসী এক ভয়ংকর সময় পার করছেন। দুই বছরের বেশি সময় পেরোলেও কাটেনি এর উদ্বেগ। থেমে থেমে বাড়ছে সংক্রমণ, মৃত্যুও। তার উপর আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়টাটে জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই আছে। করোনার কারণে ভয়ও বেশি।

তাই তো করোনা পরীক্ষা করানো প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা শুরুতেই করোনা পরীক্ষার কথা বলেছেন। এজন্য বাড়ির কাছাকাছি কোথায় কোথায় করোনার পরীক্ষা করা হয়, তা জানার চেষ্টা করেছেন সবাই। এ বছর অনলাইনে এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশিবার খোঁজা হয়েছে এটিই।

অক্সিজেন সিলিন্ডার
এ মহামারিতে অনেক করোনা রোগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছে, যার জন্য দরকার হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের।

করোনা হাসপাতাল
২০২১ সালে ক্রমশই বেড়েছে করোনার উদ্বেগ। দিনে দিনে বেড়েছে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। তখনই মানুষের দরকার পড়েছে করোনা হাসপাতালের। গুগলে সার্চ করে তখন তারা বাড়ির কাছাকাছি কোথায় কোথায় করোনা হাসপাতাল আছে, তা জানার চেষ্টা করেছে।

সিটি স্ক্যান
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষ বেশ চিন্তিত। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন ছিল সবাই। তা ছাড়া বিজ্ঞানীদের মতে, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সিটি স্ক্যানের দরকার। তাই চলতি বছর ইন্টারনেটে অনেককেই দেখা গিয়েছে সিটি স্ক্যান বাড়ির কাছাকাছি কোথায় আছে, সেটা খুঁজতে।

ফুড ডেলিভারি
দেখা গেছে, একই পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত বা যিনি সংসার সামলান, তিনি হয়তো করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তখন সে সময় পরিবারগুলোর দরকার পড়েছে ফুড ডেলিভারির। চলতি বছরে এটাও খুব বেশি খোঁজা হয়েছে।

রেস্তোরাঁ
ঘরবন্দি থেকে বাইরে যাওয়া যখন বারণ। তখন রেস্তোরাঁয় বস খাওয়াও নিষেধ ছিল। জনসমাগম এড়াতে এমনসব বিধি নিষেধ ছিলো পুরোবিশ্বে। এই সময়টাতে সবাই ফুড ডেলিভারি দেয় এমন রেস্তোরাঁর খোঁজ করেছেন অনলাইনে।

ফাসট্যাগ
চলতি বছর মানুষ গুগলে সার্চ করেছে ফাসট্যাগ, যা হলো গাড়ির সামনে লাগানো থাকা একধরনের বারকোড। ওটা গাড়ির মালিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিংক থাকে। কোড স্ক্যান করে টোল প্লাজা থেকে টোল কেটে নেওয়া হয় সরাসরি অ্যাকাউন্ট থেকে। নগদে লেনদেন দরকার হয় না।

গাড়ির প্রশিক্ষণ স্কুল
করোনার পুরো সময়টাতে সংক্রমণ রোধে নানান পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার। এরমধ্যে অন্যতম একটি ছিল সীমিত পরিসরে গাড়ি চলাচল। সে সময় যারা বাইরে বেড়িয়েছেন তাদের ভোগান্তির কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এজন্যই হয়তো ২০২১ সালে সবাই বাড়ির কাছে গাড়ি প্রশিক্ষণ স্কুল খুঁজেছেন।

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।