ডিজিটাল বিপ্লব বাংলাদেশ থেকেই সূচিত হয়েছে: মোস্তাফা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১
ফাইল ছবি

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বিপ্লবে অর্জিত সফলতার ফলে পৃথিবীর অনেক দেশেরই বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মেলানোর সুযোগ নেই। পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকটি দেশ ফাইভ-জির যুগে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ আগামী ১২ ডিসেম্বর ফাইভ-জি যুগে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে কম্পিউটারে বাংলাভাষা উদ্ভাবন ও প্রয়োগে নেতৃত্ব দিচ্ছে, পৃথিবীতে ডিজিটাল বিপ্লব বাংলাদেশ থেকেই সূচনা হয়েছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে পাঁচ দিনব্যাপী ‘বিজয়ে প্রযুক্তি মেলা ২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী সামনের ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল যন্ত্রের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী উল্লেখ করে বলেন, সামনের দিনে ডিজিটাল যন্ত্রের অভাবনীয় রূপান্তর আসছে। কম্পিউটার এবং মোবাইল আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। মোবাইলের চাহিদাও কম্পিউটারের ১০ গুণেরও বেশি। সে বিবেচনায় একই ছাদের নিচে মোবাইলসহ আইওটি, এআই বা রোবটিক্স ডিভাইস পাওয়া গ্রাহকদের প্রত্যাশা। কম্পিউটার সিটিতে যাতে গ্রাহকরা কম্পিউটারের পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বশেষ সংস্করণের ডিজিটাল যন্ত্র পায় তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে। গ্রাহকের ফাইভ-জি সেটসহ আইওটি ডিভাইসের চাহিদা মাথায় রেখে প্রচলিত ডিভাইসের পাশাপাশি নতুন নতুন ডিভাইসের চাহিদা মেটাতে বিক্রয় ও সেবার বিষয়টি নতুন করে ভাবতে হবে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশব্যাপী ডিজিটাল সংযোগ সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ভারত ও ভুটানে ইন্টারনেট ব্যান্ডউদথ রপ্তানি করছি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী বিজয় উৎসব কর্মসূচিকে সংগঠকদের অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ হিসেবে মন্ত্রী উল্লেখ করেন এবং সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

মোস্তাফা জব্বার দেশের কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির অবদান তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের ফলে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। তিনি কম্পিউটারের ওপর থেকে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটারকে সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দেন।

বিসিএস কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, এর আগে ১৯৮৭ সাল থেকে বিসিএস কম্পিউটার সমিতি কম্পিউটার প্রযুক্তির সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধনের কাজটি করেছে।

তিনি বিসিএসের দীর্ঘ পথযাত্রায় এর সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগুলো সংকলিত করে রাখার জন্য সমিতির কর্মকর্তাদের উদ্যোগগ্রহণের আহ্বান জানান। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন। ৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজটি চারাগাছে রূপান্তর করেন। ২০০৯ সাল থেকে গত ১৩ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে যা বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বিসিএস কম্পিউটার সিটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এল মাজাহার ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, বিসিএস কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ-উল মনির ও বিসিএস কম্পিউটার সমিতির প্রথম সভাপতি আহমেদ হাসান জুয়েল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বক্তারা সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিসিএস কম্পিউটার সিটিকে কম্পিউটারের পাশাপাশি মোবাইলসহ ডিজিটাল যুগের ডিভাইস বিক্রয়ের হাব হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এইচএস/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।