ডিজিটাল পদ্ধতিতে খাদ্য সংগ্রহ হবে : পলক
মধ্যস্বত্বভোগীর হস্তক্ষেপ বন্ধে সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ধান-চাল ক্রয়ে কৃষকদের নির্ধারিত মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতেই এই পদ্ধতির সংযোজন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্প খাদ্য অধিদফতরের খাদ্য সংগ্রহ পদ্ধতির ডিজিটাইজেশন করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংকে নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে খাদ্য অধিদফতরের খাদ্য সংগ্রহ পদ্ধতির ডিজিটাইজেশনের একটি সফটওয়্যার চালিত অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করবে। এ অ্যাপ্লিকেশনটিতে কৃষকের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, তাদের উৎপাদিত ধানের পরিমাণের তথ্য এবং কৃষককে অনলাইনে এবং ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে ধান ক্রয়ের তথ্য জানানোর বিধানসহ আরও কিছু ব্যবস্থা যুক্ত থাকছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক শনিবার এ প্রতিবেদককে আরও বলেন, সরকার ধান ক্রয়ে মধ্যসত্বভোগীর হস্তক্ষেপ বন্ধ করার লক্ষেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে ফড়িয়া, দালাল তথা মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম অনেকটাই কমে যাবে। একজন কৃষকের উৎপাদিত খাদ্য পণ্যের মূল্য নিশ্চিত করতেই সনাতনী পদ্ধতির পরিবর্তে এই ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একজন কৃষক সহজেই ক্ষুদে বার্তা বা অনলাইনে প্রেরিত বার্তা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জেনে তার উৎপাদিত ধান ও চাল সরাসরি স্থানীয় খাদ্য সংগ্রহ কেন্দ্রে বিক্রয় করতে পারবেন।
বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকার প্রতি বছর বোরো মৌসুমে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল ক্রয় করে থাকে। কিন্তু প্রচলিত খাদ্য সংগ্রহ পদ্ধতিতে কৃষকরা অনেক ক্ষেত্রে সরকার নিধরিত মূল্য পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিসিসি’র এলআইসিটি প্রকল্পের উদ্যোগে খাদ্য অধিদফতরের খাদ্য সংগ্রহ পদ্ধতি ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হলে এ ধরনের অভিযোগ আর থাকবে না।
একে/আরআইপি