শেষ হলো গ্রামীণফোনের ডিজিটাল সামিট


প্রকাশিত: ১০:৪১ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গ্রামীণফোন হাউজে সফলতার সঙ্গে শেষ হয়েছে ডিজিটাল সামিট ২০১৫ বা অনলাইন বিপণন সম্মেলন-২০১৫। সম্মেলনে মোট পাঁচটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সম্মেলন চলে ৪টা পর্যন্ত। সেমিনারগুলোতে বক্তারা দেশে অনলাইনে পণ্য ও সেবা বিপণন তথা কেনাবেচা কার্যক্রম নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ বিনিময় করে। সাধারণ মানুষের কাছে কিভাবে আরও কার্যকরভাবে অনলাইন বেচাকেনা জনপ্রিয় করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয় সেমিনারগুলোতে।

সম্মেলনে প্রথম মূল প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন এসএসডি-টেকের চিফ অব মার্কেটিং অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি বা বিপণন ও কৌশল প্রধান আশিস থমাস। তার প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘ফরচুন অ্যাট দ্য বটাম অব দ্য পিরামিড-ট্রান্সলেটিং ডিজিটাল ফর বাংলাদেশ।’ এতে আশিস থমাস দেশের নিম্নপর্যায়ের আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে ডিজিটাল অ্যাক্টিভিটিজ বা অনলাইন কার্যক্রমে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরেন।

অ্যামাজন ইন্টারনেট সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের সলিউশন্স আর্কিটেক্ট অমিত শর্মা তার প্রতিষ্ঠানের (আমাজন) অনলাইন বিপণন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি কীভাবে বড় ধরনের, কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে অবকাঠামো ও সেবার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হয় তা নিয়ে কথা বলেন। বর্তমান বিশ্বের ভার্চুয়াল জগতে মোবাইল অ্যাপস যে খুবই জনপ্রিয় তা উঠে আসে টেলিনরের ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার ক্যারি চেন-এর উপস্থাপিত প্রবন্ধে। এতে তিনি অ্যাপস মার্কেটিং বা বিপণন সম্পর্কে নিজের বর্ণাঢ্য অভিজ্ঞতার কথা জানান।

রবোসফট টেকনোলজিসের করপোরেট কমিউনিকেশন্সের ভাইস প্রেডিসডেন্ট (ভিপি) লক্ষণপাঠে ভাট তার ‘নিউ অ্যাডভার্টাইজিং ইজ ওল্ড অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাট হার্ট’ শিরোনামের প্রবন্ধে ডিজিটাল বা অনলাইন বিপণনে ব্র্যান্ডিংয়ের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এসব অধিবেশনের প্রত্যেকটিতেই মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পরে তার ওপর প্যানেল আলোচক ও অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা করেন।

এদিকে যারা মাঠ পর্যায়ে বা হাতে-কলমে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে কাজ করেন বা করতে আগ্রহী তাদের জন্য এই সম্মেলনে তিনটি আলাদা আলোচনা অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। এসব অধিবেশনগুলো পরিচালনা করে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল মার্কেটিং ও সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সি ওয়েবেবল ডিজিটাল এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে নানা ধরনের পণ্য বিপণনকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এসএসডি টেক।

এ ছাড়াও সম্মেলনে তিনটি বিশেষ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশন দুটিতে ডিজিটাল ইকো-সিস্টেমের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ এবং কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং বা অনলাইন বিপণন কার্যক্রমকে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। এই পর্বে দেশের ডিজিটাল ও বিপণন জগতের বিশেষজ্ঞরা প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইনোভিশন নামক সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেলাতে নিজেদের তৈরি গেম প্রদর্শন করে। গ্রামীণফোনের জন্য নির্মিত গেম ‘প্রাণের জন্য ক্রিকেট ম্যাচগুলো’ মেলায় দর্শকদের নজর কাড়ে। চোখে থ্রিডি চশমা পড়ে ঢাকার রাস্তায় দ্রুতগামি স্পোর্টস কারের রেসিং প্রতিযোগিতা অথবা হাতের মুঠোয় নিয়ন্ত্রণ করা পাজল গেম দর্শনার্থীদের আনন্দ দিয়েছে।

মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ) দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে পৃষ্ঠপোষকতা করে এসএসডি-টেক। সম্মেলনটি আয়োজনে আরো সহায়তা করেছে সিম্ফনি। এতে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি নলেজ পার্টনার, দ্য ডেইলি স্টার ইয়ুথ এনগেজমেন্ট পার্টনার হয়েছে।

আরএম/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।