ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা সম্মেলন মঙ্গলবার


প্রকাশিত: ০৬:৩৭ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৪

দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার চার বছর উপলক্ষ্যে ১১ নভেম্বর, মঙ্গলবার, জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজন করা হয়েছে "ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা সম্মেলন-২০১৪"। "ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা সম্মেলন-২০১৪" আয়োজন এবং এ আয়োজনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের উদ্যোগে রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তা সম্মেলনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহাপরিচালক (প্রশাসন), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

মূল প্রবন্ধে এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার বলেন, "ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল সেন্টারগুলো অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে। ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান, দেশবাসীকে তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে আরেকবার মনে করিয়ে দেয়া এবং ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি পুরস্কার (WSIS) ও ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি এ্যান্ড সার্ভিস এ্যালায়েন্স পুরস্কার উদযাপনের জন্যই এ আয়োজন।" তিনি আরো বলেন, এ সম্মেলনে দেশের সকল ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন ডিজিটাল সেন্টারের ১১ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা অংশ নেবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগের অন্যতম। ডিজিটাল সেন্টার হলো ইউনিয়ন পরিষদ, , পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডে স্থাপিত তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সেবা সমৃদ্ধ একটি আধুনিক কেন্দ্র।

তৃণমূল মানুষের কাছে কম খরচে, কম সময়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও সেবা পৌঁছে দিয়ে জাতীয় উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দেশের সকল (৪৫০১টি) ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে এসব তথ্য ও সেবাকেন্দ্র। ইউএনডিপি`র কারিগরি সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের নেতৃত্বে, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহযোগিতায় সারাদেশে এসব কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয় থেকে এবং নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ইউএনডিপি`র গ্লোবাল প্রশাসক হেলেন ক্লার্ক চর কুকড়ি মুকড়ি থেকে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে একযোগে সারাদেশে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। বর্তমানে তথ্য ও সেবাকেন্দ্রগুলো ডিজিটাল সেন্টার নামে পরিচিত।

বর্তমানে দেশের সকল (৪৫৪৭) ইউনিয়নে, সকল (৩২১) পৌরসভায় এবং ১১ টি সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে (৪০৭) স্থাপিত ডিজিটাল সেন্টারগুলো গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি-বেসরকারি-বাণিজ্যিক তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির এক অনন্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এসব তথ্য ও সেবাকেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি সেবা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ কোটি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন।

আর এসব সেবা প্রদান করে উদ্যোক্তারা এ পর্যন্ত ১৪০ কোটি টাকার বেশি উপার্জন করেছেন। মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশ গমনেচ্ছু ২০ লক্ষাধিক শ্রমিক ও পেশাজীবীদের অনলাইন নিবন্ধন এবং বাড়িতে বসে জমির পর্চা পাওয়া ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা প্রদানের অনন্য নজির। এছাড়া গ্রামে বসেই মোবাইল ব্যাংকিং, জীবন বীমা, পল্লী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ, সরকারি ফরম, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, অনলাইন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সহ বহুবিধ (৬০ ধরনের ) সেবা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে জনগণের খরচের পাশাপাশি সময়ও বেঁচে যাচ্ছে ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।