যে কারণে হোয়াটসঅ্যাপও নিরাপদ নয়

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২০

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত বলে মনে করেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা। বেশিরভাগ সময় দাবি করা হয় এটি সিকিওরড মেসেজিং সার্ভিস। এমনকি Telegram ও Signal-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকতে একই কথা দাবি করে স্বয়ং হোয়াটসঅ্যাপও।

কিন্তু এর মাঝেই কিছু ত্রুটির কথা জানা গেছে। এসব ত্রুটি যা আপনার গোপনীয়তা ভঙ্গ করতে পারে। যার জেরে এই চ্যাটিং অ্যাপে আপনার নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তায় পড়তে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজেদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত বলে মনে করেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা।

বেশিরভাগ সময় দাবি করা হয় এটি সিকিওরড মেসেজিং সার্ভিস। এমনকি Telegram ও Signal-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকতে একই কথা দাবি করে স্বয়ং হোয়াটসঅ্যাপও।

প্রশ্ন উঠছে, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের iOS ব্যাকআপ নিয়ে। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে iCloud ড্রাইভ। টেক-এক্সপার্টদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপনি যখন অ্যাপের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তখন হোয়াটসঅ্যাপের তরফে end-to-end encryption-এর বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয়। কিন্তু iCloud ড্রাইভে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকআপের সময় সেই একই স্ট্যান্ডার্ডের এনস্ক্রিপশনের দাবি করা হয় না।

Whatsapp

অর্থাৎ অ্যাপে যে সুরক্ষা ও গোপনীয়তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয়, iCloud ড্রাইভের ক্ষেত্রে কোথাও যেন তার অনুপস্থিতি দেখা যায়। এর কারণে আপনার চ্যাটসহ হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো নানা ছবি ও তথ্য কিন্তু বিপদের মুখে পড়ছে। সেগুলির নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

তবে শুধুমাত্র চ্যাট বা হোয়াটসঅ্যাপের সাধারণ কয়েকটি ফাইল নয়, এই সিকিওরিটি ভঙ্গের বিষয়টির গুরুতর প্রভাব রয়েছে। এর ফলে কিন্তু হ্যাকাররা ব্যক্তিগত প্রচুর তথ্য হাতে পেয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ পেমেন্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাকাউন্ট আরও ভালো করে সাজানো হয়েছে।

এ ক্ষেত্রেও বড়সড় বিপদে পড়তে পারেন ব্যবহারকারীরা। iCloud ড্রাইভের ক্ষেত্রে একই মাত্রার end-to-end encryption-এর বিষয়টি সুনিশ্চিত না করায় এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা কিন্তু অন্যের হাতে আপনার তথ্য তুলে দেওয়ার পথ প্রশস্ত করছে। দিনের শেষে আপনার সম্পূর্ণ তথ্যই অসুরক্ষিত থেকে যাচ্ছে।

দিন কয়েক আগেই Disappearing Messages ফিচার এসেছে হোয়াটসঅ্যাপে। হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এই ফিচার এনেবল হলে কোনো ইনডিভিজুয়াল বা গ্রুপ চ্যাটে পাঠানো নতুন মেসেজগুলো সাতদিনের পরই ডিজ-অ্যাপিয়ার অর্থাৎ অদৃশ্য হয়ে যাবে। বলা ভালো, সাতদিনের মধ্যে উড়ে যাবে মেসেজগুরো। হোয়াটসঅ্যাপের Disappearing Messages ফিচারও ইতিমধ্যে নানা সমালোচনার শিকার হয়েছে।

এই মেসেজগুলো উড়ে যাওয়ার পর iCloud ব্যাকআপে কতটা সুরক্ষিত থাকছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন হোয়াটসঅ্যাপের Disappearing Messages ফিচারে সিকিওরিটি প্রোটোকলের অভাব রয়েছে। যার জেরে আপনার তথ্যসুরক্ষা নিয়ে একটি চিন্তা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি মেসেজের স্ক্রিনশট রেস্ট্রিকশন চালু করা নিয়েও তেমন কোনো কাজ করতে পারেনি হোয়াটসঅ্যাপ।

তাই হোয়াটসঅ্যাপে নিজেকে যদি সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে করেন, তা হলে একটু ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজন আছে। টেক ব্যবহারকারীদের আশা, আগামী দিনে এই ছোটখাটো সমস্যাগুলো প্রতি নজর দেবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। যাতে গোপনীয়তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনো বড় বিপদ না হয়। সর্বোপরি ব্যবহারকারীরা সুরক্ষিত থাকতে পারেন।

এমএমএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।