ভ্যাট চেকার অ্যাপ, প্রতিবাদের শুরু এখান থেকেই


প্রকাশিত: ০৯:২৩ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৫

প্রতিদিন রেস্টুরেন্টে খাওয়া, সুপারশপ বা বড় বড় ব্র্যান্ডের দোকানে কেনাকাটা করতে যাই। আমাদের কেনা প্রত্যেক জিনিসের উপর কিন্তু ভ্যাট রাখা হয়। এটি আমাদের সার্ভিস যে দিচ্ছে, তার উপর আরোপকৃত কর। ১৫ টাকার কোকাকোলা যখন রেস্তরাঁয় ২০ টাকা দিয়ে খাওয়া হয়, তখন এমনিতেই ৫ টাকা ভ্যাট হিসেবে আমরা দেই। এটি অন্তর্ভুক্ত থাকে রেস্তরাঁ, সুপারশপ, হোটেলে। কিন্তু আমাদের দেওয়া এই ভ্যাট আদৌ সরকারের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা, সেটিই দেখার বিষয়। আর এই জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়, যাকে আমরা BIN বলি। পুরো অর্থ Business Identification Number.
 
এই বিন নিয়ম অনুযায়ী ১১ ডিজিটের। তবে ২০১২ এর আগে রেজিস্ট্রিকৃত প্রতিষ্ঠানে ১০ ডিজিট ছিল, যাদের ১১ ডিজিট নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অনেকেই নতুন BIN এখনো নেয়নি। এরা অবশ্যই অন্যায় করছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের এখনো ৯ ডিজিট, ৮ ডিজিট BIN রয়েছে। যা রাজস্ব বোর্ড থেকে অনুমোদিত নয়। এরা ঠিকই ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট নিচ্ছে, কিন্তু সরকারকে দিচ্ছে না। এদের কে ধরিয়ে দেওয়া আমাদের মত সাধারণ জনগণেরই দায়িত্ব।
National Reveunue Board (NBR) এর ওয়েবসাইটে BIN status বলে একটি ঘরে আপনাকে দেওয়া বিলের কাগজের উপর ছাপান ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নং প্রবেশ করিয়ে, আপনি নিজেই চেক করতে পারেন প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট অনুমোদনকৃত কি না।   

যদি প্রতিষ্ঠানের নাম আসে, তাহলে তা বৈধ। আর নো রেজাল্ট ফাউন্ড আসলে, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাটের জন্য বৈধ নয়। সে ক্ষেত্রে ওই রেস্টুরেন্ট বা সুপারশপের নিয়ন্ত্রণাধিন কমিশনারেটের কাছে অভিযোগ করতে হবে।

ঢাকা পশ্চিমের মূসক নিবন্ধন নম্বর ১৭ ([email protected]), ঢাকা উত্তর ১৮ ([email protected], [email protected]) ঢাকা দক্ষিণ ১৯ ([email protected]), ঢাকা পূর্ব ২১ ([email protected]), রংপুর ১১ ([email protected]), রাজশাহী ১২ ([email protected]), যশোর ১৪ ([email protected]), খুলনা ১৫ ([email protected]), সিলেট ২২ ([email protected]), কুমিল্লা ২৩ ([email protected]) এবং চট্টগ্রাম ২৪([email protected]) দিয়ে শুরু হয়েছে। মূসক নিবন্ধন নম্বরের প্রথম দুই ডিজিট দেখে বুঝে নিন প্রতিষ্ঠানটি কোন কমিশনারেটের অন্তভূর্ক্ত।

কোন রেস্তরাঁয় খেতে গেলে বা সুপারশপে গেলে এতোগুলো ই-মেইল ঠিকানা মনে রাখা সম্ভব না। সেই অসুবিধা নিরসনে ৩ তরুণ প্রোগ্রামার জুবায়ের, তুর্য, নিশান তৈরি করেছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। বিলের রিসিট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি বিল দেওয়ার আগে, এই অ্যাপ থেকে সহজেই ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটি চেক করা যাবে। যদি ভুয়া হয়, তৎক্ষণাৎ আপ থেকে আপনি পেয়ে যাবেন অভিযোগ ফর্ম। রিসিটের ছবিসহ আপনি অভিযোগ করতে পারবেন নিয়ন্ত্রণকারী কমিশনারেকে।

এভাবেই একটি অ্যাপ দিয়ে আপনি বাঁচাতে পারেন সরকারের টাকা, প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

অ্যাপটির ঠিকানা : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.enamelbd.vatchecker

এসইউ/এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।