অ্যাকসেস পয়েন্ট নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সিম্পোজিয়াম
বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল সচিবালয়ের সহযোগিতায় `অ্যাকসেস পয়েন্ট ও প্রোগ্রেশন পাথওয়ের ওপর` এক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ ও ২০ অক্টোবর শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও দক্ষতার সাফল্য নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে এ সিম্পোজিয়ামটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল সচিবালয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় এ আয়োজন। বৈশ্বিক শিক্ষাভিত্তিক সংলাপ বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের পক্ষে অনুকূল নীতি ও দক্ষতা ব্যবস্থার উন্নয়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। এ সংলাপ ক্রিটিক্যাল অ্যাকসেস পয়েন্ট ও ক্যারিয়ারের অগ্রগতির প্রক্রিয়াকে তুলে ধরবে। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের দিক নির্দেশনা দিবে। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত।
দুই দিনব্যাপি সিম্পোজিয়ামটি একটি বৈশ্বিক শিক্ষাভিত্তিক সংলাপ যেখানে, বিশেষজ্ঞ ও সরকারি প্রতিনিধিরা কাজ ও জ্ঞানের দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ প্রজন্ম কিভাবে উন্নয়ন ঘটাতে পারে তা নিয়ে বড় পরিসরে আলোচনা করেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার বৈশ্বিক শিক্ষাভিত্তিক সংলাপের অংশ হিসেবে পুরো দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই এ বছর সিম্পোজিয়ামটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সংলাপের মাধ্যমে নীতি নির্ধারকরা আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ ও বাধাসমূহ নিয়েও আলোচনা করেন।
এ সিম্পোজিয়াম আয়োজনের লক্ষ্য, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে তরুণদের প্রগতিশীল কর্মসংস্থান ব্যবস্থা ও শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি সহজতর করতে অনুকূল নীতি উন্নয়ন ও দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থায় অবদান রাখা। এছাড়া, বিশ্বপ্রেক্ষিতে দক্ষতার উন্নয়ন মাপকাঠিতে অর্থনীতি ও সামাজিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি ও জোরালো কার্যকর ব্যবস্থার আলোচনাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া।
সংলাপের শুরুতেই তরুণ প্রজন্মের ভাবনা, মতামত ও দৃষ্টিকোণ নিয়ে সম্প্রতি `নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ` শীর্ষক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এ গবেষণা উপস্থাপনা সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় আলোচকরা তাদের ভাবনা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে তরুণদের আশাবাদ বিস্ময়কর।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খাতে চলতি চাহিদা মেটাতে যোগ্যতা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও দক্ষতার উন্নয়ন, দক্ষতা শিক্ষা, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে সিম্পোজিয়ামে দুইটি মতবিনিময় সভা ও ছয়টি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিম্পোজিয়ামে টিভিইটির স্বীকৃতির ওপরও জোর দেয়া হয়।
এআরএ/আরআইপি