‘অনলাইন প্রশিক্ষণে শহর-গ্রামের বৈষম্য দূর হবে’

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৩ এএম, ১৮ মে ২০২০

করোনা পরিস্থিতি পরবর্তী বিশ্বে আইটি ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। করোনার কারণে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হাওয়ায়, অনলাইন ক্লাসই হবে আমাদের ভবিষ্যত। আর করোনা অনলাইন শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিরাজমান অবস্থায় অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে শহর-গ্রামের বৈষম্য দূর হবে।

রোববার আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী বক্তব্য এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা এবং আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে বাস্তবধর্মী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। দেশজুড়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং পেমেন্ট গেটওয়ে অবকাঠামো তৈরির ফলেই এখন আমরা ঘরে বসেই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মতো ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণের কার্যক্রম অনলাইনে শুরু করা সম্ভব হয়েছে।

প্রযুক্তি জ্ঞানকে উন্মুক্ত করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের অধীনে এসএসসি ও এইচএসসি পাশের পরও তরুণদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের আত্মকর্মসংস্থান করে দিতেই এই উদ্যোগ করোনাতেও চলমান রাখা গেছে।

জানা গেছে, অনলাইনেই প্রশিক্ষণ নিতে ১ লাখ ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। তবে কম্পিউটার ও উচ্চগতির নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এমন ১৫টি ভাগে ভাগ করে দেশের ৪৯২ লোকেশনে ৪০ হাজার প্রশিক্ষনার্থীকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ জন্য ৩৯টি আইটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৫টি জেলায় ওয়েব, গ্রাফিক্স ও ডিজিটাল মার্কেটিং ৩টি কোর্সের ওপর ২০০ ঘণ্টার এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।