আপনার স্মার্টফোন থেকে তথ্য পাচার করছে শাওমি!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ০২ মে ২০২০

এবার ব্যবহারকারীদের তথ্য পাচার করার অভিযোগ উঠল শাওমির বিরুদ্ধে। সাইবার গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন, শাওমি তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনে পাচার করছে।

এই তথ্যগুলো পাচার হচ্ছিল চীনের আলিবাবার রিমোট সার্ভারের মাধ্যমে। অন্যান্য প্রিলোডেড অ্যাপগুলোর সঙ্গে শাওমির রেডমি এবং এমআই সিরিজের ফোনের ডিফল্ট ব্রাউজারের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো ট্রান্সফার করা হচ্ছিল। খবর টেকগ্যাপের

ব্যবহারকারী যদি ইনকগনিটো মোডে রেখেও ইন্টারনেট সার্চ করেন তাহলেও তথ্য ট্রান্সফার হয়ে যাচ্ছিল। তবে এই তথ্য পৌঁছাচ্ছে শুধুমাত্র তাদের সার্ভারে, কোন তৃতীয় সার্ভারে এই তথ্য ট্রান্সফার করা হয়নি।

সাইবার গবেষকরা শাওমির বিভিন্ন ফোনে এই সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন। যার মাধ্যমে শাওমি তাদের ব্যবহারকারীর অনুমতি না নিয়েই তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চীনে পাচার করছিল।

গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, শাওমির রেডমি নোট ৮-এ এই সমস্যা সব থেকে বেশি রয়েছে। ব্রাউজারে কোন তথ্য সার্চ করার সঙ্গে সঙ্গেই সেই ডাটা রিমোট সার্ভারের মাধ্যমে আলিবাবার সার্ভারে পৌঁছে যাচ্ছিল।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবনের বেশ কিছু তথ্যও ওই সার্ভারে পৌঁছে গিয়েছে। সম্ভবত শাওমি ইচ্ছাকৃতভাবে এই সফ্টওয়্যারগুলোকে রেডমি স্মার্টফোনে যোগ করেছে।

তারা বলেন, রেডমি নোট ৮ স্মার্টফোনটি ব্যবহার করার সময় ফোনটি শুধুমাত্র ব্রাউজিং হিস্ট্রি নয় আরো বেশ কিছু তথ্য রেকর্ড করছিল। ব্যবহারকারী কোন কোন ফোল্ডার খুলছেন, কোন স্ক্রিন তিনি সোয়াইপ করছেন সব তথ্য রেকর্ড হচ্ছে রেডমি স্মার্টফোনে। এমনকি স্ট্যাটাস বার এবং সেটিংস পেজ পর্যন্ত রেকর্ড হয়েছে। এই সব তথ্য পাচার করা হয়েছে রিমোট সার্ভারের মাধ্যমে যেটি লোকেট করা গেছে সিঙ্গাপুরে এবং রাশিয়ায়।

গুগল প্লে স্টোরে থাকা এমআই ব্রাউজার প্রো এবং এমআই ব্রাউজার অ্যাপ্লিকেশন দুটিও একই ধরনের ইউজার ডেটা পাচার করছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এই দু’টি অ্যাপ্লিকেশনের এই গুগল প্লে স্টোরে ডাউনলোড সংখ্যা ১৫ মিলিয়নেরও বেশি।

শাওমি বলছে, এই তথ্যগুলো ব্যবহারকারীদের আচরণের উপর নজর রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। শাওমি ইতোমধ্যেই বিহেভিউরাল অ্যানালিটিকস স্টার্টআপ সেন্সার্স অ্যানালিটিক্সের সঙ্গে যুক্ত, যা শাওমিকে ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন ব্যবহার সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে।

সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শাওমির অ্যাপ্লিকেশনগুলো এই রেকর্ড করা তথ্যগুলো এমন সার্ভারেই পাঠাচ্ছিল যেগুলোর সঙ্গে সেন্সার্স অ্যানালিটিক্সের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তবে শুধু এইবারই প্রথম নয় এর আগেও এই ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল চীনের এই জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে।

এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।