লাঙল চালানো বাঙালির হাতে এখন ল্যাপটপ-স্মার্টফোন : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যে বাঙালি লাঙল চালানো ছাড়া আর কিছুই জানত না, সেই হাতে এখন ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আর থামানো যাবে না। আমরা মহাকাশ জয় করেছি, দারিদ্র্য জয় করছি, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আমরা চালু করতে যাচ্ছি। আমরা ২০২১ সালে প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় বিটিআরসির এসএস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল আলম অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব হচ্ছে যান্ত্রিক এবং সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো হচ্ছে মানবিক। তিনি বলেন, যন্ত্র মানুষের জন্য কিন্তু যন্ত্রের জন্য মানুষ নয়। জ্ঞানই হচ্ছে সভ্যতার নতুন শক্তি। জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ ডিজিটাল সাম্য সমাজের দিকে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে এমন কোনো এলাকা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ থাকবে না। ২১ সালের মধ্যে আমরা ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। তারই উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দেশে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার এবং চারটি কোম্পানিকে মোবাইল ফোনের লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে দেশে কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনকে সাধারণের নাগালের মধ্যে পৌঁছে দেন। দেশে স্থাপিত হয় ডিজিটাল প্রযুক্তির ভিত্তি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ কর্তৃক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। মেলায় ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি-প্যাভিলিয়ন এবং ২৮টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরা হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সব সংস্থা এতে অংশ নেয়।
আরএম/এসআর/পিআর