যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ নাগরিক অনলাইনে হয়রানির শিকার


প্রকাশিত: ০৮:১০ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৪

যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ।

সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে হয়রানির শিকার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্ত বয়স্করাও এ সমস্যা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্টদের মতে, কঠিন নীতিমালার অভাবেই এ ধরনের প্রবণতা বাড়ছে। প্রতিবেদনে পিউ রিসার্চ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনের আরেক নামে পরিণত হয়েছে হয়রানি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপুলসংখ্যক প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক এ ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে জানানো হয়।

পিউ রিসার্চ জানায়, অনলাইনে গ্রাহকরা ছয় ধরনের হয়রানির শিকার হন। এগুলো হচ্ছে, উগ্র নামে কাউকে সম্বোধন করার মাধ্যমে হয়রানি, উদ্দেশ্যমূলক হয়রানি, নির্দিষ্ট সময়ের হয়রানি, শারীরিক ক্ষতির লক্ষ্যে হয়রানি, যৌন হয়রানি ও অনলাইনে থাকা অসাধু ব্যক্তিদের স্বভাবজাত হয়রানি। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সবধরনের হয়রানির পরিমাণই বাড়ছে। ফলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা এখন ইন্টারনেট থেকে কিছুটা দূরেই থাকছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়।

এ ধরনের প্রবণতা একদিকে যেমন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য হুমকি, অন্যদিকে ইন্টারনেটের স্বাধীন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের অন্তরায়। প্রতিবেদনে পিউ রিসার্চ জানায়, ১৮ থেকে ২৯ বছরের ব্যক্তিরা অনলাইনে তুলনামূলক বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা যেমন উন্নত হয়েছে, তেমনি মোবাইল ডিভাইসের প্রসারও হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ কারণে ইন্টারনেট সেবা মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে। ফলে হয়রানির পরিমাণও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইন্টারনেট খাতের প্রসার একটি ইতিবাচক দিক হলেও এর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্যথায় সেবাটি মানুষের বিরক্তির কারণে পরিণত হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। -বিবিসি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।