আইএমইআই ডাটাবেজ : গ্রাহকবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

মোবাইল ফোন গ্রাহকদের সুবিধার্থে আইএমইআই ডাটাবেজ নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু করেছে সরকার। এই নীতিমালায় গ্রাহকদের অধিকার ও স্বার্থ নিশ্চিত করার বিধান রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মোবাইল ডিভাইসের উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা জনস্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর’ শীর্ষক এক সেমিনারে অ্যাসোসিয়েশন নেতারা এ দাবি জানান।

সেমিনারে মোবাইল ফোনে তেজস্ক্রিয়তা বা রেডিয়েশন-সংক্রান্ত জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়ানো তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য প্রফেসর ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান।

আলোচনায় অংশ নেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কে সিদ্দিক-ই-রাব্বানী, পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাছের, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ শাকি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, তেজস্ক্রিয়তার কারণে গ্রাহদের ক্ষতির বিষয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সেটি আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে।

তিনি বলেন, যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, মোবাইল ফোন তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সব আবিষ্কার মানুষের কল্যাণে হওয়া উচিত। জনস্বার্থে এবং জনস্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর অপেক্ষাকৃত কম তেজস্ক্রিয় সেট বাজারজাত করতে করা উচিত।

পবা চেয়ারম্যান আবু নাছের বলেন, মোবাইল ফোন এখন ব্যাপকভাবে পরিবেশে প্রভাব বিস্তার করছে। মাত্রাতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়তা এর মধ্যে অন্যতম।

আরএম/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।